রাজনাথ সিং (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৩ অক্টোবর: মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) পরামর্শেই আন্দামান জেলে বন্দি থাকাকালীন ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা (Mercy Petitions) করেছিলেন বীর সাভারকার (Veer Savarkar)। মঙ্গলবার একথা বলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বীর সাভারকারকে কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং বিংশ শতাব্দীতে ভারতের প্রথম সামরিক কৌশলবিদ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মার্কসবাদী এবং লেনিনবাদী মতাদর্শের লোকজন সাভারকারকে অহেতুক ফ্যাসিস্ট বলে অভিযুক্ত করে।

মঙ্গলবার আম্বেদকর ইন্টারন‍্যাশনাল স্টেডিয়ামে হিন্দুত্ববাদীদের আইকন সাভারকরকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, "সাভারকারের বিরুদ্ধে অনেক মিথ‍্যাচার ছড়ানো হয়েছিল। বলা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে বহুবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আসল সত‍্যি হল, তিনি নিজের মুক্তির জন্য এই আবেদন করেননি‌। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন বন্দির ক্ষমা প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানাতে বলেছিলেন। গান্ধীজির পরামর্শেই তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন এবং গান্ধীজি ব্রিটিশ সরকারের কাছে সাভারকারকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে সাভারকারকে জাতীয় আইকন হিসেবে বর্ণনা করে রাজনাথ বলেন যে, সাভারকার দেশকে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক মতবাদ দিয়েছেন। তিনি ভারতের ইতিহাসের একজন আইকন ছিলেন এবং থাকবেন। তাঁর সম্পর্কে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু তাকে নিকৃষ্ট হিসেবে দেখাটা যথাযথ এবং যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী ছিলেন। সাভারকারের প্রতি ঘৃণা অযৌক্তিক এবং স্থানহীন। আরও পড়ুন: Coronavirus Cases In India: ১৯ দিন ধরে ৩০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, দেশে ফের বাড়ল করোনা রোগী

সাভারকর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, স্বাধীনতার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার এতটাই ছিল শক্তপোক্ত ছিল যে ব্রিটিশরা তাঁকে দু'বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বারবার সাভারকার সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানো হয়েছিল। এটা ছড়ানো হয়েছিল যে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি চেয়ে অনেক দয়ার আবেদন করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধীই তাঁকে দয়ার আবেদন করতে বলেছিলেন।"

রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য:

সাভারকারের হিন্দুত্বের মতবাদ নিয়ে রাজনাথ বলেন, "সাভারকারের কাছে হিন্দু শব্দটি কোনও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং এটি ভারতের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত। সাভারকারের জন্য হিন্দুত্ব সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল।" বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, সাভারকারের জন্য একটি আদর্শ রাজ্য হল, যেখানে নাগরিকদের সংস্কৃতি ও ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করা হয়নি এবং তাই তাঁর হিন্দুত্বকে গভীরভাবে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।