প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

ভোপাল, ২১ মার্চঃ বছর তেরোর এক নাবালিকার হাতে খুন হল চার বছরের এক শিশু। খুনের পর শিশুর মৃতদেহটি নাবালিকা একটি নির্মাণস্থলে পুঁতে দেয় বলে অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গোয়ালিয়রে নাবালিকার হাতে শিশু খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন ওই শিশুকে খুন করল কিশোরী? কী উদ্দেশ্য ছিল তার? খুনের ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল চার বছরের শিশু, দেবরাজ শঙ্কর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলে একরত্তি ছেলে বাড়ি না ফেরার দুশ্চিন্তা শুরু হয় পরিবারের। সন্ধেতেই স্থানীয় থানার দারস্ত হয়ে শিশুপুত্রের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে বাবা-মা। এরপরেই শুরু হয় সন্ধান অভিযান। পুলিশের চারটি দল মিলে নিখোঁজ শিশুর তল্লাশি শুরু করে। খতিয়ে দেখা হয় আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেই ফুটেজেই হদিস মেলে শিশুর। একরত্তি দেবরাজকে শেষবার দেখা গিয়েছিল অভিযুক্ত নাবালিকার সঙ্গেই।

এরপরেই পুলিশ ওই নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশি জেরায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম বয়ান নিয়ে পুলিশকে ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত নাবালিকা। তবে শেষমেশ নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। পুলিশ জানাচ্ছে, গাছ থেকে ফল পেরে খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় কিশোরী। শিশুটিকে একটি নির্জন নির্মাণস্থলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাথর দিয়ে শিশুর শরীরে আঘাত করে। খুনের পর মৃতদেহটি ওই নির্মাণস্থলে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয় অভিযুক্ত।

একাধিক বয়ানের মধ্যে অভিযুক্ত নাবালিকা পুলিশকে এমনও বলেন, এক 'তান্ত্রিক'এর পাল্লায় পড়ে সে এই কাজ করেছে। তার উপর কোন অশুভ শক্তি ভর করেছিল বলেই জানায় নাবালিকা। বশীকরণের স্বীকার হয়ে খুনের মত সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটেছে সে। তবে শিশু খুনের পিছনে ওই নাবালিহার আসলে কী উদ্দদেশ্য ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। কিশোরীকে জেরা এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একটি মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।