শ্রীনগর, ২৯ জুন: গ্রেপ্তারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গুলি বিনিময়ে নিকেশ লস্কর-এ-তৈবা কম্যান্ডার নাদিম আবরার (LeT Commander Nadeem Abrar) ও এক পাক জঙ্গি৷ কাশ্মীর পুলিশ মুখপাত্র মঙ্গলবার সকালে এই খবর জানিয়েছেন৷ সোমবার পারিমপোরা এলাকায় যখন নাকাচেকিং চলছে, সেই সময় এক গাড়ির মধ্যে থেকে আরবার-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ একই সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাকিস্তানি জঙ্গিও৷ এরপর জেরায় আবরার জানায় উপত্যকার মালুরা এলাকার এক গোপন আশ্রয়ে সে একে-৪৭ লুকিয়ে রেখেছে৷ এদিকে গোয়েন্দাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে ওই এলাকা থেকে জাতীয় সড়কের উপরে হামলা চালানো হবে৷ গোপনসূত্রে হামলার খবর পেয়েই জাতীয় সড়কের বিভিন্ন চেকপোস্টে সিআরপিএফ জওয়ানদের পাশাপাশি উপত্যকার পুলিশও মোতায়েন করা হয়৷ আরও পড়ুন-Euro Cup 2020: আট গোলের থ্রিলারে এক্সট্রা টাইমে ক্রোটদের হারিয়ে শেষ আটে স্পেন
পারিমপোরা এলাকাও সেই নাকা চেকিংয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ স্বভাবতই কোনও গাড়ি এলে তার তল্লাশি চলছিল৷ চালক যাত্রী সবাইকেই একপ্রস্থ জেরার মুখে পড়তে হচ্ছিল৷ সেই পারিমপোরা চেকপোস্টে একটা গাড়ি দাঁড়ালে চালক ও যাত্রীর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়৷ এই সময় পিছনের আসনে বসে থাকা যাত্রী আচমকাই ব্যাগ খুলে গ্রেনেড বের করার চেষ্টা করে৷ তবে পুলিশি তৎপরতায় সে আর সফল হয়নি৷ তৎক্ষণাৎ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জেরায় জানা যায়, ধৃত যাত্রী আসলে লস্কর কম্যান্ডার আবরার৷ উপত্যকায় বহু পুলিশকর্তা ও কর্মী খুনের মাস্টার মাইন্ড সে৷ এরপর চালক যাত্রী দুজনকেই সেই গাড়ির পিছনের আসনে বসিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়৷
আরবারের কাছে থেকে বেশ কয়েকটা হ্যান্ড গ্রেনেড ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে৷ এরপর মালুরা এলাকার সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশকর্মী ও জওয়ানরা৷ একে-৪৭ উদ্ধার করতে বাড়িতে ঢোকে আবরারের সহযোগী ও জওয়ানরা সেই সময় বাড়িতে লুকিয়ে থাকা পাক জঙ্গি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে৷ এই ঘটনায় তিন সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ওই সহযোগী আহত হয়৷ এরপর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে গুলি বর্ষণ শুরু হয়৷ এই গুলির লড়াইয়ে বাড়িতে লুকিয়ে থাকা পাক জঙ্গি ও আবরার নিহত দুটি একে-৪৭-সহ বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে৷