Jammu & Kashmir: কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হতে না হতেই কাশ্মীরের কুলগামে বিজেপি নেতার গাড়ি জ্বালালো জঙ্গিরা
কাশ্মীর পুলিশ প্রতীকী ছবি (Photo Credit: IANS)

কুলগাম(জম্মু-কাশ্মীর), ১ নভেম্বর: বিশেষ স্টেটাস খর্ব করে আসলে কাশ্মীর বাসীর উন্নয়নের দ্বারই খোলা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নীতির উপরে ভরসা রাখা বেশ মুশকিল হয়ে গেল। গত মঙ্গলবার একটি স্কুলের সামনে প্রহরারত সিআরপিএফ জঙ্গিদের উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। অন্যদিকে গতকালই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বদলে গিয়েছে ভূতপূর্ব রাজ্য কাশ্মীর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফের হামলার দামামা বেজে উঠল উপত্যকায়। স্থানীয় বিজেপি নেতার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় জঙ্গিরা। শুক্রবার কাকভোরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুলগামের (Kulgam district) বোনিগ্রামে। ওই বিজেপি নেতার নাম আদিল আহমেদ গানাই (BJP leader Adil Ahmad Ganai)। বাড়ির সামনের রাস্তাতেই গাড়িটি পার্ক করা ছিল। সেটিকেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ, এই ঘটনায় একসঙ্গে দুটি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই হামলার সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই বিজেপি নেতা। তবে এই আগুনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কাশ্মীরে বাইরে থেকে আসা লোকেদেরই ইদানিং আক্রমণের নিশানা বানাচ্ছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে সহজ লক্ষ্যবস্তুকেই নিশানা করা হচ্ছে। এর আগে সোপিয়ানে একই কায়দায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। আপেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে সোপোরে একটি বাস স্ট্যান্ড লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মূলত উপত্যকার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়াই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য। তাই বাইরে থেকে আসা ট্রাকচালক, আপেল বাগানের কর্মী, রাজমিস্ত্রির মতো ভিন রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের মেরে ফেলে আতঙ্কের পরিবেশ তারি করতে চাইছে। এমন চলতে থাকলে বাইরে থেকে আর কেউই জীবনের বিনিময়ে উপত্যকায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসবে না। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, এরফলে জঙ্গিদের কার্যসিদ্ধি হবে। আরও পড়ুন-Girish Chandra Murmu Takes Oath: জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে শপথ নিলেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু, লাদাখের উপ-রাজ্যপাল হলেন আরকে মাথুর

উল্লেখ্য, গতকাল ৩১ অক্টোবর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। ভাগ হয়েছে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। জম্মু-কাশ্মীর ভাগ হওয়ার আগে থেকেই নাশকতার হুমকি দিতে শুরু করেছিল কোণঠাসা হয়ে পড়া জঙ্গি সংগঠনগুলি। হিজবুল মুজাহিদিনের হুমকি বার্তায় এও বলা হয়েছিল, কাশ্মীরে বড় মাপের কোনও পদক্ষেপ করলে বেছে বেছে হত্যা করা হবে অ-কাশ্মীরিদের। গত মঙ্গলবারই জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ শ্রমিক শেখ কামরুদ্দিন, শেখ মহম্মদ রফিক, শেখ নিজামুদ্দিন, মহম্মদ রফিক শেখ এবং শেখ মুরনসুলিন। সমস্যা যে বাড়বে বৃহ্সপতিবারের ঘটনা অন্তত তেমনই বার্তা দিচ্ছে।