বেঙ্গালুরু, ১২ জুলাই: কর্নাটকে কার্যত নিশ্চিত পতনের মুখে দাঁড়িয়ে, ভেঙে যাওয়া ঘর গোছানোর একটু সময় পেলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। কর্নাটকের বিধানসভা স্পিকারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের টানাপোড়েন নিয়ে শুনানি স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ফের কর্নাটকে ক্ষমতা দখলের মামলা শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালত। ততদিন অবধি ঘর গোছানোর একটা সুযোগ পেল কংগ্রেস-জেডি(এস)। এই ক দিনে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কোনওরকম মীমাংসায় গিয়ে সরকার বাঁচাতে পারেন কি না কুমারস্বামী সেটাই দেখার।
গতকালের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার সুপ্রিম কোর্টকে জানান, ''আমি আলোর গতিতে কাজ করতে পারব না, ওই বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য তাকে সময় দেওয়া হোক।'স্পিকারের কথা মেনে এই মামলায় শুনানি স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গতকাল সন্ধ্যায় স্পিকার রমেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান ১৮ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন। বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগ স্পিকার তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এমনকি হুমকি দিয়ে ইস্তফাপত্র ছেঁড়ার চেষ্টাও করেন। ওই ১০ বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফাপত্র দিয়েই বেঙ্গালুরুতে সোজা মুম্বইয়ের হোটেলে চলে যান। যে হোটেলে তারা এক সপ্তাহ ধরে কার্যত নিজেদের বন্দি রেখেছেন।
কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যার খেলায় এখন--
এখন কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস-এর দখলে ১১৮টি আসন রয়েছে। কিন্তু ১৮ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে সংখ্যা ১০০-এ নেমে যাবে। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে দরকার ১১৩টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি বিদ্রোহী বিধায়কদের সমর্থনে অনায়াসে ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপি ১০৫টি আসন রয়েছে। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে তা ১০৭-এ গিয়ে দাঁড়ায়েছি। ১০৭ থেকে ১১৩ হওয়াটা এখন আর ব্য়াপার নয় বিজেপি-র। অপেক্ষা শুধু সুপ্রিম রায়ের।