কংগ্রেস নেতা Siddharamiah (Photo Credit: Twitter)

বেঙ্গালুরু, ৯ জুলাই: সিদ্দারামাইয়া (Siddharamiah)র দাবি- কর্নাটকে ১৩ জন বিধায়ক দল ছাড়ায় কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কুমারস্বামীর সরকার ভেঙে যাওয়ার মুখে। আর দক্ষিণের এই রাজ্যে সরকার বাঁচাতে এবার বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার (Ramesh Kumar)-র কাছে দলছুট বিধায়কদের ওপর কড়া নিয়ম প্রয়োগের দাবি জানাল কংগ্রেস। কর্নাটকে কংগ্রেসের-র শীর্ষ নেতা সিদ্দারামাইয়া দাবি জানালেন, যে সব বিধায়করা দল ছাড়ছেন তাদের ওপর দলত্যাগ বিরোধী আইন (Anti-Defection Law) প্রয়োগ করতে হবে।

অনৈতিক কারণে দল ছাড়ছেন কিছু বিধায়ক, তাই স্পিকারের কাছে সিদ্দারামাইয়া-র দাবি দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে ওই বিধায়কদের আগামী ৬ বছর নির্বাচনে দাঁড়ানো বন্ধ করতে হবে। আরও পড়ুন- শুক্রবার ভাঙতে পারে কুমারস্বামীর সরকার, দাবি বিজেপি-র

কর্নাটকে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর বেঙ্গালুরুতে প্রেস কনফারেন্সে সিদ্দারামাইয়া দাবি জানালেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের দল ছাড়ার প্রক্রিয়া আইন মেনে হয়নি এবং সংবিধানের দশ নম্বর ধারায় থাকা দলত্যাগী বিরোধী আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিদ্রোহী বিধায়কদের দল ছাড়ার পুরো প্রক্রিয়াটিই অসাংবিধানিক।

সিদ্দারামাইয়া বললেন, '' আমার রাজ্যের ক্য়াবিনেট ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'' আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, '' যেহেতু বিধায়কদের পদত্যাগ ঐচ্ছিক এবং আসল ছিল না, তাই আমরা স্পিকারের কাছে বিদ্রোহী বিধায়দের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর ধারায় দলত্যাগী বিরোধী আইন লাগু করার দাবি জানিয়েছি।''

১৩ মাস ধরে বিজেপি নানাভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভা ভাঙার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিদ্দারামাইয়া। বিধায়কদের কিনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ মোটা টাকা খরচ করছেন বলেও অভিযোগ এই কংগ্রেস নেতার। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের জানান, '' আমরা বিজেপি-র এই অগণতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে এক ঘণ্টা ধর্নায় বসব। তারপর আমরা স্পিকারের কাছে গিয়ে আমাদের সম্মলিত প্রস্তাব জমা দেব।''

সংখ্যার খেলায় কর্নাটকে এখন অনেকটাই ফ্রন্টফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করে লোকসভা নির্বাচনের চমকপ্রদ ফলের পর চালিয়ে খেলে বিজেপি এখন নাকি কংগ্রেস-জেডি(এস)কে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। ২২৪ বিধানসভার কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ১১৩। যেখানে ২০১৮ বিধানসভার পর কংগ্রেস+জেডিএসের কাছে ছিল ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন। কংগ্রেস জিতেছিল ৭৮টি আসন, জেডি(এস) ৩৭টি ও বিএসপি ১টি। কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন JDS-এর কুমারস্বামী। কিন্তু ১৩ জন বিধায়কের বিদ্রোহে কুমারস্বামীর সরকার এখন ১০৩ জনে নেমে এসেছে। যা নিয়ে বিজেপি-র দাবি শুক্রবাই কর্নাটকে কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যেতে চলেছে।