খুন্তি, ২৩ সেপ্টেম্বর: ফের গো হত্যার নামে (suspicion of slaughtering a cow) পিটিয়ে খুন, এবারও খুনের ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খুন্তি জেলায়। গো হত্যা করে হয়েছে, এই সন্দেহে তিন ব্যক্তির উপরে চড়াও হয় একদল উত্তেজিত জনতা। তিনজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মারের চোটে তিনজনই গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম কালান্তাস বার্লা। তিনি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন বলে খবর। আহত দুজন হলেন ফাগু কাচ্চাপ ও ফিলিপ হোরো। দুজনেই গুরুতর জখম অবস্থায় রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি আছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা কালান্তাস বার্লা, ফাগু কাচ্চাপ ও ফিলিপ হোরোকে জলটাঙ্গা গ্রামের নদী লাগোয়া এলাকায় দেখতে পায়। দেখতে পেয়েই তারা চেঁচামেচি শুরু করে। অভিযোগ, ওই সময় তিনজনের সঙ্গে ছিল একটি মৃত গরু। গো হত্যা করে প্রমাণ বোপাটের চেষ্টায় ছিলেন তিনজন। বাসিন্দাদের চেঁচামেচিতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই কালান্তাস বার্লা, ফাগু কাচ্চাপ ও ফিলিপ হোরোকে ধরে বেধড়ক মারতে শুরু করে। পুলিশ যতক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ততক্ষণে তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিকে পুলিশকে দেখেই অপরাধীরা গা-ঢাকা দেয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে আটক করেছে কার্রা থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। ওই দিন সন্ধ্যায় আটকের খবর পেয়েই গ্রামের বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন সাব ডিভিশনাল পুলিশ কর্তা রূষভ ঝা। তিনি বলেন, থানায় আটকরা যদি মারধরের ঘটনায় জড়িত না থাকে তাহলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপরেই ঘেরাও উঠে যায়। আরও পড়ুন-ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের 'সন্ত'উপাধি কাড়া হচ্ছে
এই প্রসঙ্গে ডিআইজি অমল ভেনুকাট হোমকর সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এই পাঁচজনই যে মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল প্রাথমিক তদন্তে তার প্রমাণ মিলেছে। আহতরা অভিযুক্তদের চিন্তে পারে কি না তা এখন পরখ করে দেখা হচ্ছে। তবে যতই গো হত্যার অভিয়োগে গণপিটুনি দেওয়া হোক না কেন, ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে কোনও মৃত গরুর সন্ধান পায়নি পুলিশ। তবে গণপিটুনির সপক্ষে প্রচুর প্রমাণ মিলেছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।