শ্রীনগর, ৮ সেপ্টেম্বর: ভূস্বর্গেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ৬ মুঘল গার্ডেন (Mughal Garden)। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন এবার সেইসব মুঘল গার্ডেনগুলির তথ্যপঞ্জি সংগ্রহে তৎপর হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় থাকা এই ছটি মুঘল গার্ডেনের তালিকা তৈরি করে তা ইউনেস্কোতে পাঠানো হবে। তাহলে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় জায়গা করে নেবে এই ৬টি মুঘল গার্ডেন। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে জোয়ার আসবে, এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা। উপত্যকার মুঘল উদ্যানগুলির উন্নয়নে গভীর আগ্রহী জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন যে এবার ৬টি মুঘল উদ্যান-সহ নিশাদ, শালিমার, চেশমাশাহি, পরিমহল, আছাবল ও ভিরিনাগের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের ফুলচাষ বিভাগের ডিরেক্টর ফারুক আহমেদ রাথের সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “২০০৫-১১ এই সময়কালে জম্মু ও কাশ্মীরের ফুলচাষ বিভাগ উপত্যকার আটটি বাগানের উন্নতিতে পেশাদারের পরামর্শ নিয়েছে। ২০১১-র শেষের দিকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের সহায়তায় ইউনেস্কোর সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা উপত্যকা পরিদর্শনে আসেন। মূলত মুঘল উদ্যানগুলির হেরিটেজ ভ্যালু যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই এই বিশেষজ্ঞ দলের কাশ্মীরে আসা। সেই থেকেই ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটের অস্থায়ী তালিকায় চলে আসে ৬টি মুঘল উদ্যান। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে এই ৬টি মুঘল উদ্যান নিয়ে তথ্যপঞ্জি তৈরি হচ্ছে যা ইউনেস্কোতে উত্থাপন করা হবে। এই উদ্যানগুলি আমাদের হেরিটেজের অংশ। তাই যে কোনও মূল্যেই এগুলির সংরক্ষণ করব।” আরও পড়ুন-Taj Mahal: ৫ মাস পর ২১ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের জন্য পুনরায় খোলা হবে আগ্রার তাজমহল
তৃতীয় বারের জন্য শ্রীনগরে ঘুরতে আসা পর্যটক গোপীনাথ তিওয়ারি বললেন, “ইউনেস্কো যদি মুঘল উদ্যানগুলিকে হেরিটেজ ঘোষণা করে তাহলে শ্রীনগরের অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে। এই নিয়ে তৃতীয়বার তিনি শ্রীনগরে এলেন। মূলত উপত্যকার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র দেখতে তিনি বার বার এখানে আসেন। তবে প্রতিবছরই নিয়ম করে মুঘল উদ্যান দেখতে খুব ভাল লাগে। যদি এই মুঘল উদ্যানগুলির দিকে ইউনেস্কোর নজর পড়ে তো তাহলে এখান মানুষের জন্য তা উপকারের।” এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আয়ুব বলেন, “ইউনেস্কোর উচিত এই উদ্যানগুলিকে অনুমোদন দেওয়া। আমরা আমাদের সংস্কৃতির জন্য গর্বিত। যখন পর্যকরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন তখন সেই বিষয়টি আমাদের কাছে আনন্দের হয়ে ওঠে।”