Jana Gana Mana: ১৯১১ সালে আজকের দিনেই প্রথম ‘জন গণ মন’ গানটি গাওয়া হয়েছিল, জানুন জাতীয় সংগীতের গোড়ার কথা
জন গণ মন(Photo Credits: File Photo)

ভারতীয়দের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে’ (Jana Gana Mana) ১০৯ বছর আগে আজকের দিনেই প্রথম গাওয়া হয়েছিল। ১৯১১-র ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬-তম বার্ষিক অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই গানটি সমবেত কণ্ঠে প্রথম গাওয়া হয়। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯১২-র জানুয়ারি মাসে আদি ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় “ভারত বিধাতা” শিরোনামে প্রকাশিত হয়এই গান। মূলত রবীন্দ্রনাথ রচিত এই ‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে’ গানটি ব্রাহ্ম সংগীত হিসেবেই আখ্যা পেয়েছিল। সে বছর শ্রীনিকেতনের মাঘোৎসবেও মহা সমারোহে গানটি গাওয়া হয়। তবে এসবের অনেক আগেই ডক্টর নীলরতন সরকারের বাসভবনে দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে’ গানটির রিহার্সালও হয়।

বলা বাহুল্য, ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংগীত হিসাবে প্রথম জন গণ মন গানটির নাম প্রস্তাব করেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুলাই আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের কথা ঘোষণা করা হয় এবং সেই দিনই প্রথম জাতীয় সংগীত হিসাবে জন গণ মন গাওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ২৫ আগস্ট নেতাজি আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাপতির পদ গ্রহণ করেন ও ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আরজি হুকুমৎ-এ-হিন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দিনও জাতীয় সংগীত হিসাবে জন গণ মন গাওয়া হয়েছিল। এরপর জন গণ মন-র হিন্দি অনুবাদের জন্য নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকারের সেক্রেটারি আনন্দমোহন সহায়কে দায়িত্ব দেন। তিনি লয়ালপুরের তরুণ কবি হুসেনের সাহায্যে কাজটি সম্পাদনও করেন।

১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি জন গণ মন-র হিন্দু অনুবাদটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে অ্যাডপ্ট করে ভারতীয় গণপরিষদ। এই প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসা করে বলেছিলেন, “এতগুলো বছর ধরে দেশবাসীকে একত্রিত করে রেখেছে জাতীয় সংগীত। এবং জাতির অনুপ্রেরণার ভূমিকা পালন করে চলেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের গর্ব। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের বিরুদ্ধে তিনি যে আন্দোলন করেছিলেন আজ তাই আমাদের পথ দেখায়।”