Sonam Raghuvanshi (Photo Credit: PTI/X)

ইন্দোর, ৯ জুন:  ইন্দোরের তরুণী সোনম রঘুবংশী (Indore Couple Missing) মানসিকভাবে সুস্থ নন। মানসিকভাবে স্থিত নন সোনম (Sonam Raghuwanshi)। এমনই জাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ধাবার মালিক। উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের যে ধাবায় বসেছিলেন সোনম রঘুবংশী, সেখান থেকেই তিনি বাড়ির লোককে ফোন করেন। ওই ফোন করার সময় কেঁদে ফেলেন সোনম। যা দেখে ধাবার মালিকের পালটা দাবি, মানসিকভাবে সোনম সুস্থ নন। উত্তরপ্রদেশের কাশি ধাবার মালিক সাহিল যাদবের দাবি, রাত ১টা নাগাদ সোনম তাঁর ধাবায় হাজির হয়ে সমানে কাঁদতে শুরু করেন। মানসিকভাবে সোনম সুস্থ নন বলেই তিনি সমানে কেঁদে যান বলে দাবি জানান গাজ়িপুরের ধাবার মালিক।

রাত ১টা নাগাদ সোমন কোন জায়গা থেকে ধাবায় হাজির হন, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে ধাবায় হাজির হওয়ার পর থেকেই কাঁদতে শুরু করেন সোনম। ওই সময়ই সোনম তাঁর বাড়ির লোকজনদের ফোন করে কান্নাকাটি শুরু করেন। ওই সময় সোনমকে জল খাওয়ার কথা বলেন সাহিল যাদব নামে ওই ধাবার (Uttar Pradesh Dhaba) মালিক।

আরও পড়ুন: Sonam Raghuwanshi: রাজার সঙ্গে বেরনোর মুহূর্তে সোনম ভাড়াটে খুনিদের মেসেজ করে? সিসিটিভি ফুটেজে হাড়হিম করা তথ্য প্রকাশ্যে?

শুনুন কী বললেন সাহিল যাদব...

 

সোনম জল খেয়ে সাহিলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে বাড়িতে কথা বলেন। সোনমের খোঁজ পেয়ে ধাবার মালিকের সঙ্গে পালটা কথা বলেন ইন্দোরের তরুণীর দাদা। সোনমের খোঁজ জানিয়ে সাহিল যাদব যাতে স্থানীয় থানায় ফোন করেন, সেই আবেদন ও জানান তিনিন। এরপরই সাহিল স্থানীয়  থানায় ফোন করে সোনমের কথা জানান এবং তাঁর ওই সময়ের ঠিকানা পুলিশকে জানান। এরপর স্থানীয় পুলিশ ধাবায় হাজির হয় এবং সোনমকে ধরে নিয়ে যায় থানায়।

গত ২ জুন মেঘালয়ে (Meghalaya Couple) পাহাড়ের খাঁজ থেকে উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ. জানা যায়, স্ত্রী সোনমকে নিয়ে বিয়ের পর রাজা হানিমুনে যান মেঘালয়ে। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে রাজা, সোনমের কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর পুলিশ ড্রোন দিয়ে খোঁজা শুরু করলে, রাজার দেহ মেলে পাহাড়ের খাঁজ থেকে। তবে সোনমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৭ দিনের মাথায় সোনমকে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যয়া। তবে সোনম আত্মসমর্পণ করেছেন বলে দাবি করে মেঘালয় পুলিশ।