নতুন দিল্লি, ২০ এপ্রিল: করোনা মহামারী (Coronavirus Pandemic) ঠেকাতে এবং আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে দিনরাত্রি এক করে লড়ছেন এদেশের চিকিৎসকরা (Doctors)। পরিবার, পরিজন দূরে রেখে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্চ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদেরই হেনস্থা হতে হচ্ছে বরাবর। তবে আর নয়। চিকিৎসকদের ওপর বারবার হওয়া হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কালা দিবস ডাক দেওয়ার পথে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এই সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াইট অ্যালার্ট-র পরেও যদি সরকার চিকিত্সক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর না করে তবে আইএমএ ২৩ এপ্রিল 'কালা দিবস' ঘোষণা করবে। দেশজুড়ে চিকিত্সকরা এই দিন কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ করবে তারা।
সমস্ত চিকিত্সক এবং হাসপাতাল ২২ এপ্রিল রাত ৯ টায় একটি মোমবাতি জ্বালাবে। এটি জাতির জন্য হোয়াইট অ্যালার্ট হিসেবে করা হবে। আইএমএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য আমাদের যথোপযুক্ত চাহিদা পূরণ করতে হবে। খারাপ ব্যবহার, মারধর-হামলা এবং সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।" স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (এমএইচএ) রাজ্যগুলিকে দেওয়া চিঠিতে করোনাভাইরাস ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের ওপর হওয়া সহিংসতার ঘটনাগুলির উদাহরণ দিয়ে জানিয়েছে এই তাদের থামানো দরকার। আরও পড়ুন, আইটি সেক্টর, পাটশিল্প ও একাধিক বিষয়ে ছাড় রাজ্য সরকারের, তবে রয়েছে একাধিক শর্ত
Our legitimate needs for safe workplaces have to be met. Abuse and violence should stop immediately. White Alert to the nation - All doctors and hospitals to light a candle at 9pm on 22 April, as protest and vigil: Indian Medical Association. #COVID19 pic.twitter.com/GYXByQcoWv
— ANI (@ANI) April 20, 2020
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের (এআইএমএস) রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ) তাদের বাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদ এবং ভাড়া নেওয়া আবাস সম্পর্কে অভিযোগ করার পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং সেই বাড়িওয়ালাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছিলেন। এদিকে ভারতে চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়েই চলেছে। স্বাস্থ্যকর্মী হোক কিংবা চিকিত্সক এই মুহূর্তে করোনার সঙ্গে জীবন দিয়ে লড়ছেন তারাই। আর তাদেরই সমাজে হেনস্থা করছে সমাজের কিছু মানুষ। এই নিয়ে কেন্দ্র কঠিন ব্যবস্থা না নিলে তারা যে আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন তা বলাই বাহুল্য।