পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জানার (Photo Credits: IANS)

হায়দরাবাদ, ৯ ডিসেম্বর: আজ তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট (Telangana High Court) হায়দরাবাদ পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের এনকাউন্টারের বিষয়ে শুনানি (Hearing) দেবে। শুনানি হওয়ার আগে পর্যন্ত মৃতদেহ দাহ করা যাবে না। হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল মৃত অভিযুক্তদের দেহ ৯ ডিসেম্বর রাত ৮ টা পর্যন্ত সংরক্ষিত (Preserve) করে রাখতে।

তেলাঙ্গানা সরকার ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্তের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করেছে। দ্য হিন্দু-র খবর অনুযায়ী, তদন্তকারীরা প্রত্যক্ষদর্শীদের (Witness) বয়ান (Statement) নেবে এবং তা রেকর্ড (Record) করবে। অভিযুক্ত ৪ জনের এনকাউন্টার করা পুলিশকর্মীদের বয়ানও রেকর্ড করা হবে। বিশেষ তদন্তকারী দল তাঁদের মৃত্যুর সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করবে। আরও পড়ুন, সরকারি চাকরির দাবি করলেন উন্নাওয়ের মৃতা নির্যাতিতার বোন 

গত রবিবার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়, হায়দরাবাদ পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের এনকাউন্টারের বিষয়টি পুরোটাই অসত্য। যার ভিত্তিতে যথোপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে রায় দেবে তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, এনকাউন্টারের দিন ওই ৪ অভিযুক্ত পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তাঁদের দিকে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। সায়বেরাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জানার ( V C Sajjanar) জানান ৪ জনই পুলিশের পাল্টা হামলায় মারা যায়।

গত ২৭ নভেম্বর রাতে পেশায় পশু চিকিত্সক ওই তরুণীকে হায়দরাবাদের শামসাবাদ এলাকায় নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করে ৪ জন। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় তার দেহ। এরপর পুলিশের গুলিতে এনকাউন্টার হয় চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জললু শিবা, জললু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলুকে।