লখনৌ, ৮ ডিসেম্বর: দু'দিন আগে উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে (Unnao Rape Case) অগ্নিদগ্ধ নির্যাতিতার মৃত্যু হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। গতকাল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে মৃতার বোন (Sister) একটি সরকারি চাকরির (Government Job) দাবি (Demand) করেছেন। রবিবারের মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে দাবি করেছেন। কবর দেওয়ার আগে মৃতার বাবাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। যুবতীকে তাঁর নিজের গ্রামেই কবর দিতে চায় তাঁর পরিবার এবং গ্রামবাসী। আজ বিকেলের মধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা।
গতকাল কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা (Priyanka Gandhi Vadra) মৃতার বাড়ি ঘুরে গেলেও এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। জনরোষের জেরে শনিবার বিকেলের দিকে নিজের মন্ত্রিসভার দুই সদস্যকে উন্নাও পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে একটি বাড়ি দেওয়ার কথা বলেন। আরও পড়ুন, প্রতিশোধ নিয়ে কখনও ন্যায়বিচার দেওয়া যায় না: প্রধান বিচারপতি
Sister of Unnao rape victim: I also demand that I should be given a government job. https://t.co/CxvWDO9QmC
— ANI UP (@ANINewsUP) December 8, 2019
শুক্রবার রাত ১১.৪০ নাগাদ সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু (Dies) হয় উন্নাওয়ের (Unnao) নির্যাতিতার। এক বছর আগে ধর্ষণ হওয়া নির্যাতিতা (Victim) বিচার চাইতে গেলে দু’দিন আগে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। গতকাল তাঁর গরমের বাড়ি হিন্দুপুরে মৃতদেহ এসে পৌঁছায়। রাজ্যের ২ মন্ত্রী কবর দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবে বলে খবর।
সেদিন তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে। তারপর গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতা পুলিশকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরেলি (Rae Bareli) যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ স্টেশন পৌঁছন তিনি। এ দিন ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করেছিল পাঁচ দুষ্কৃতী। যার মধ্যে ধর্ষণে ২ অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী (Shivam Trivedi) এবং শুভম ত্রিবেদীও (Shubham Trivedi) ছিল। এরপর বিমানে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। নির্যাতিতার শরীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিত্সকরা জানান। গত মার্চে অভিযুক্ত শিবম এবং শুভমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ ঘটনার ৪ মাস পর আদালতের হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাঁচ দিন আগে জামিনে ছাড়াও পেয়ে যায় শিবম। শুভম যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গায়ে আগুন লাগানোর দিন সেও উপস্থিত ছিল।