দাদরি, ১ জুলাই: আনাজ বাজারের জন্য ৩০ টাকা চেয়েছিলেন, এই অপরাধে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের পর তিন তালাক দিল স্বামী (Triple Talaq)। আক্রান্তের নাম জয়নাব বিবি। অভিযোগ, স্বামী সাবিরের সঙ্গে দেওর জাকির, শাশুড়ি নাজো এবং ননদ সামাও তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে। এমনকী বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রতিবেশীদের কাছে মারধরের খবর পেয়ে প্রহৃত বোনকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন দাদা। শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের হলে সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরও পড়ুন-দেনার দায়ে রিলায়েন্স গ্রুপের ভাঁড়ে মা ভবানী, মুম্বইয়ের কার্যালয় বিক্রি করছেন অনিল আম্বানি
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির পরেও সাবিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেরায় আক্রান্ত গৃহবধূ জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সাবিরের হাতে মার খাওয়াই তাঁর নিয়তি। সকাল বিকেল ছুতোনাতায় মারধর লেগেই আছে। কোনও সময় মারধর করতে ভুলে গেলে শাশুড়ি ননদ স্বামীকে উসকে দিত বলেও অভিযোগ। গত শনিবার রান্নার জন্য কোনও আনাজপাতি ছিল না। তাই স্বামীর থেকে ৩০টি টাকা চান তিনি, কেন টাকা লাগবে তাও জানিয়েছিলেন। পকেট থেকে ৩০ টাকা বের করেও তা জয়নাবকে দেয়নি সাবির। ততক্ষণে জাকির ও সামা এসে দাদাকে উল্টোপাল্টা বলতে শুরু করেছে। আচমকাই ৩০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে সাবিরের পাল্টা প্রশ্ন স্ত্রীকে। আনাজ কিনতে এত টাকা লাগে না। এই এত টাকা নিয়ে কী করবে সে। জয়নাব উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁকে বেধড়ক মারতে শুরু করে সাবির। দাদার দেখাদেখি ভাই-বোনও বউদিকে মারধর শুরু করে এদিকে বউমার আর্তনাদ শুনে সেখানে ছুটে এসেছেন শাশুড়ি নাজো। না মারধরের হাত থেকে জয়নাবকে নিস্তার দিতে নয়। বরং আরও দুটো লাঠির বাড়ি হবধূকে নিজের হাতে মারতেই তার আগমন। প্রতিবেশীরা এই দেখেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে খবর পাঠিয়ে দেন। এরমধ্যে আক্রান্ত গৃহবধূকে জোর করে বিদ্যুতের শকও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে খবর পেয়েই পুলিশ আসে ততক্ষণে অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই পালিয়েছে। এদিকে আক্রান্ত স্ত্রীকে ফেলে যাওয়ার আগে তিন তালক দেয় সাবির বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে জয়নাবের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সাবিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। আপাতত ছেলেমেয়েদর নিয়ে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন জয়নাব।