'গুড়িয়া' ধর্ষণকাণ্ডে দোষী দুই (Photo Credits: ANI/Screengrab)

নতুন দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি: সালটা ২০১৩ সাল। অপহরণ করে ন্যক্কারজনকভাবে পাঁচ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আজ শনিবার দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির (Delhi) এক স্থানীয় কোর্ট। ঠিক তারপরেই উত্তাল হয়ে উঠল কোর্ট চত্বর। এমনকি এক মহিলা সাংবাদিককে (Lady Journalist) ওই দুই দোষীর একজন আক্রমণ করে বলেও অভিযোগ। কোর্টের তরফে আরও বলা হয়, পুরো সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে 'গুড়িয়া' ধর্ষণকাণ্ড (Gudiya Rape Case)! তবে দোষীদের কীরকম সাজা হতে চলেছে তা জানা যাবে চলতি মাসেরই ৩০ তারিখ।

রায়দানের সময়ে কোর্টের তরফে বলা হয়, 'আমাদের সমাজে নাবালিকাদের দেবীরূপে অর্চনা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ধর্ষিতাকে (Rape Victim) ন্যক্কারজনকভাবে অত্যাচার করা হয়।' আর কোর্টের তরফে দোষীদের প্রতি কোনও অনুতাপ না দেখানোয়, কোর্টরুমের অন্দরেই হুট করে এক মহিলা সাংবাদিকের উপরে চড়াও হয় দোষীদের একজন। ২০১৩ সালে পাঁচ বছরের মেয়েটি হঠাৎই একদিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশ সেই সময়ে নাবালিকার মা-বাবাকে মেয়েকে যত্নসহকারে দেখভাল করার নির্দেশ দেয়। আর তার ঠিক দুই দিন পরেই নিজের বাড়ির বেসমেন্ট থেকেই পাঁচ বছরের ওই ছোট্টে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, নাবালিকাকে ন্যক্কারজনকভাবে ধর্ষণ করে দুজন। নির্ভয়াকাণ্ডের (Nirbhaya Rape Case) ঠিক দুই মাস পরেই এই ঘটনা দেশকে আরও একবার নাড়িয়ে দিয়েছিল। আরও পড়ুন: Nirbhaya's Mother left Fuming: 'এতটা সাহস পান কি করে!' আইনজীবী Indira Jaisingh-এর অনুরোধের জবাবে ফুঁসে উঠলেন নির্ভয়ার মা Asha Devi

২০১৩ সালের গুড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডের পর নড়েচড়ে ওঠে পুরো ভারত (India)। যৌন নিগ্রহের শিকার পাঁচ বছরের ওই শিশুর অবস্থা এতোটাই বিপর্যস্ত ছিল যে, পরপর ছয়বার অস্ত্রপচার প্রয়োজন হয়েছিলো শিশুটির। ঘটনায় দুই অভিযুক্ত হলেন মনোজ শাহ ও প্রদীপ। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দিল্লির কারকারডোমা আদালতের বিচারক রায়ে বলেন, আমাদের সমাজে শিশুকন্যাদের দেবীজ্ঞানে (Worship) পুজো করা হয়। পাঁচ বছরের মেয়ের উপর যে বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছিল তার কোনও ক্ষমাই হয় না। ঘটনার বীভৎসতা সব সীমাকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল।