Nirbhaya's Mother left Fuming: 'এতটা সাহস পান কি করে!' আইনজীবী Indira Jaisingh-এর অনুরোধের জবাবে ফুঁসে উঠলেন নির্ভয়ার মা Asha Devi
আশাদেবী (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি: ২০১২ সালে দিল্লির গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী চারজনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে দিল্লি আদালত (Delhi Court)। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গিয়ে হয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছ’টায় ফাঁসি হবে নির্ভয়া-কাণ্ডের অপরাধীদের। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় গোটা দেশের মানুষ। এরমধ্যে দোষীদের ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নির্ভয়ার মায়ের কাছে কাতর অনুরোধ জানান এক মহিলা আইনজীবী। যাতেই ক্ষোভের আগুন যেন তীব্র হয়ে ওঠে সন্তান হারা আশা দেবীর (Asha Devi) বুকে।

শুক্রবার টুইট করে ওই সিনিয়র আইনজীবী নির্ভয়ার (Nirbhaya) মায়ের উদ্দেশ্যে লেখেন, 'আশাদেবীর যন্ত্রণার কথা জেনেও আমি তাঁকে অনুরোধ করব সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মতো তিনিও যেন দোষীদের ক্ষমা করে দেন। রাজীব গান্ধী হত্যার অন্যতম দোষী নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। আমরা আপনার সঙ্গে রয়েছি কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে।' ওই বর্ষীয়ান আইনজীবীর নাম ইন্দিরা জয়সিং। তাঁর এই অনুরোধের কথা শোনার পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি আশা দেবী। সাংবাদিকদের সামনেই নিজের ক্ষোভ উগরে তিনি জানান, 'কে এই ইন্দিরা জয়সিং, যিনি আমাকে এত জ্ঞান দিচ্ছেন। গোটা ভারত চাইছে, দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা তাঁর মতো, যাঁরা চান না ধর্ষণে আক্রান্তের সঙ্গে ন্যায় বিচার হোক!' আরও পড়ুন: Nirbhaya Gangrape & Murder Case: ফাঁসির আগে রেহাই পাওয়ার আশায় রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল দোষী পবন গুপ্তা

চলতি মাসের ২২ তারিখেই ৪ ধর্ষক-খুনির ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনি টানাপোড়েনে তা বাতিল হয়ে যায়। স্থির হয় ফাঁসি হবে আগামী মাসের পয়লা তারিখেই। এই পরিস্থিতিতে আশা দেবীর কাছে ইন্দিরা দেবীর (Indira Jaising) আর্জি যেন অসহ্যকর। এমনটাই রব উঠেছে বিভিন্ন মহলে। গত সাত বছর ধরে নির্ভয়ার দোষীদের উচিত শিক্ষা দিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নির্ভয়ার মা। ইন্দিরা দেবীর এমন অযাচিত আবদারে তাই তিনি জানান, 'আমি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বহুবার ওনার সঙ্গে দেখা করেছি। একদিনও তিনি আমাকে বলেননি, কেমন আছেন? আর আজ দোষীদের হয়ে কথা বলছেন। কিছু মানুষ সারা জীবন ধর্ষকদের সাপোর্ট করেন, এরকারণে কখনও ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হয় না।' তিনি আরও বলেন, 'এতটা সাহস পান কি করে! একজন মহিলা হিসেবে তিনি বলেন কীভাবে, যেখানে সারা ভারত দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশের খবরে খু