নতুন দিল্লি, ২৭ মার্চ: দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে স্তব্ধ জনজীবন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বৃহস্পতিবার বলেছেন, জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় পণ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একাধিক টুইটের মাধ্যমে রেলপথ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, "COVID-19 লকডাউনের কারণে যে সমস্যাগুলি হচ্ছে এবং সেগুলির সমাধানের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে ই-বাণিজ্য ও লজিস্টিক শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করা হয়।"
"প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং নিরাপদ উপায়ে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নিয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। সভায় স্ন্যাপডিল, শপক্লুজ, ফ্লিপকার্ট এবং অন্যান্য ই-কমার্স সংস্থাগুলি উপস্থিত ছিল। দিনের শুরুতে, জনসাধারণের কাছে পণ্য সরবরাহ, উত্পাদন ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি পরিবহণের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্র একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে। আরও পড়ুন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় চিন ও ইতালিকে ছাপিয়ে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগের প্রচার বিভাগ "রিয়েল টাইম" ভিত্তিতে সরবরাহের স্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে যা এই লকডাউন সময়কালে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাও পর্যবেক্ষণ করবে। লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য বাজারে পৌঁছনোর। যার ফলে পণ্যের দাম বাড়ছে এবং মজুত করা খাবার প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে দোকানগুলি থেকে। বাজারব্যবস্থা ঠিক রাখতে প্রতিটি রাজ্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। হু হু করে পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন চলতে থাকলে একপ্রকার বড়সড় খাদ্যসঙ্কটের মুখে পড়বে গোটা দেশ।