Former MP, actress Vijayashanti. (Photo Credits:X)

তেলেগু সিনেমার সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় বিজয়াশান্তির নামটা উপরের দিকে রাখা হয়। দুশোটির কাছাকাছি সিনেমায় অভিনয় করা বিজয়াশান্তি রাজনীতির দুনিয়াতেও বেশ নাম করেছেন। আরও বলা ভাল দলবদলের রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত তিনি। বিরোধীরা ঠাট্টা করে বলেন, হাওয়া যে দিকে ঘোরে বিজয়াশান্তি সেদিকে যান। তা বিজয়াশান্তি রাজনৈতিক বায়োডাটা দেখলে বলতেই হবে, দল বদলের রাজনীতিতে তিনি পিএইচডি করে ফেলেছেন। তাঁর ২৫ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে বিজয়শান্তি নিজের দল সহ মোট ৬ বার দল বদলালেন।

জয়ললিতা থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ী, কেসিআর থেকে রাহুল গান্ধী, অমিত শাহ থেকে এবার মল্লিকার্জন খাড়গের হাত থেকে দলের পতাকা নিলেন এই তেলেগু অভিনেত্রী । 

জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ বিজয়াশান্তির রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু ১৯৯৮ সালে বিজেপি থেকে। সেখানে বড় পদ পেলেও মন টেকেনি বেশীদিন। তারপর এআইএডিএমকে যোগ। সেখানেও বেশীদিন থাকনেনি। তারপর ২০০৭ সালে নিজের দল খোলেন। সেটাও বছর দেড়েক কোনওরকমে চলার পর কে চন্দ্রশেখরের তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিতে মিশে যায়। ২০০৯ লোকসভায় মেদাক কেন্দ্র থেকে টিআরএস (এখন বিআরএস)-এর টিকিটে ভোটে জিতে সাংসদ হন। ২০১৪ লোকসভার আগে কেসিআর-এর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বিআরএস-এর সংসার ত্যাগ করে কংগ্রেস যোগ দেন। একটু পরে হাঁফিয়ে গেলে হবে না। বিজয়াশান্তিকে নিয়ে দলবদলের অশান্তির এটা সবে বিরতি।

কংগ্রেসে থেকে বড় পদ পেয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে খামোকা বিতর্কিত মন্তব্য করে। ২০১৯ লোকসভার আগে নরেন্দ্র মোদীকে সন্ত্রাসবাদী বলে বিতর্ক জড়ান বিজয়াশান্তি। কিন্তু তারপরের বছরেই বিজয়াশান্তি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ-র হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই বিজয়শান্তির ইউ টার্নে এবার আরও একটা 'U'যোগ হল। ৫৭ বছরের চেন্নাইয়ের বাসিন্দা, এনটি রামারাওয়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী বিজয়াশান্তি এবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরলেন। গতকাল, শুক্রবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গের হাত ধরে হাত শিবিরে ফিরলেন বিজয়শান্তি।

তেলাঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন আর দিন ১২ বাকি। তার আগে বিজয়াশান্তির কংগ্রেসে যোগদানকে অনেকে আলাদা তাতপর্যের বলছেন। অনেকেই বলছেন, বিজয়াশান্তি হাওয়া যেদিকে থাকে, সেদিকেই থাকেন। এবার তেলাঙ্গানায় কংগ্রেস যে প্রথমবার ক্ষমতা আসছেন, তা অভিনেত্রীর দলবদলেই পরিষ্কার।

দেখুন ভিডিয়ো

যে কথাটা শুনে মুচকি হাসছেন কংগ্রেস নেতারা। বিআরএস অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই এসব গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজয়াশান্তির দলত্য়াগে সবচেয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। বড় মুখ করে অমিত শাহ দলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বিজয়াশান্তিকে। সেটা যে বুমেরাং হল তা পরিষ্কার। তবে আধুনিক বিজেপির রণনীতিটাই এমন। দলত্যাগ থাকবে, দলে যোগ থাকবে। কিন্তু নির্বাচনে জেতার জন্য যা দরকার তা পরের কথা ভেবে পিছিয়ে এলে চলবে না।