এভাবেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হল ফতেবীর। (Photo Credits:IANS)

সাঙ্গরুর, ১০জুন: সবাইকে স্বস্তি দিয়ে অবশেষে উদ্ধার হল পঞ্জাবের দু বছরের ফতেবীর সিং ((Fatehveer Singh)। কঠিন অভিযানের পর ১১০ ঘণ্টার চেষ্টায় ছোট্ট ফতেবীরকে উদ্ধার করা হল। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় খেলতে গিয়ে ফতেবীর ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আজ সকাল ৫টা নাগাদ উদ্ধার করা হয় তাকে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে তাকে অ্যাম্বালেন্সে চাপিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্ধারকার্যের সঙ্গে জড়িত কর্মীরা জানান, ফতেবীর কিছুটা অসুস্থ থাকলেও আশঙ্কার কিছু নেই।

দীর্ঘক্ষণ ছোট্ট জায়গা অথচ মাটি থেকে অনেকটা নিচে গভীরে আটকে থাকায় স্বাভাবিক কারণেই ফতেবীরের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সময় যত বাড়ছিল উদ্বেগও বাড়ছিল। রবিবার স্থানীয় প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধার কাজের দাবি করেছিল ঠিকই, তবে সোমবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে উদ্ধার কাজের গতি অনেকটা বাড়ে। তবু কিছুতেই ফতেবীরের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় একমাত্র সন্তান ফতেবীরকে স্থানীয় একটি মাঠে খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা। সেসময় আচমকা একটি পরিত্যক্ত একটি কুয়োর নিচে পড়ে যায় শিশুটি। তার মা অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেনি। আরও পড়ুন- ঠাকুমাকে খুরপির আঘাতে খুনের পর বাবা-মাকে আহত করে ফেসবুক লাইভে হুগলির যুবক

কুয়োটির উপরে একটি কাপড় চাপা দেওয়া থাকায় সেটি কারোর নজরে পড়েনি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তাকে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, কিছুতেই সাফল্য আসছিল না। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে কুয়োটির ১২৫ ফুট গভীর পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে তারা।

গতকাল এই সাঙ্গরুর ডেপুটি কমিশনার ঘনশ্যাম থোরি বলেছিলেন, “উদ্ধার কাজের একদম শেষপর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। আজকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। শুক্রবার শিশুটির কাছ পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও কোনও খাবার দেওয়া যায়নি। প্রথমে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লেও শনিবার নিচে পাঠানো ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে নড়াচড়া করতে দেখা গিয়েছে। তবে এর আগে কোথাও এত গভীর গর্তে পড়ে থাকা কোনও শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা হয়েছে বলে মনে হয় না। কিছুদিন আগে হরিয়ানার হিসারে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তাতে কুয়োর গভীরতা আরও কম ছিল।”