আজ ১৫ সেপ্টেম্বর। ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস। ভারতরত্ন শ্রী এম বিশ্বেশ্বরাইয়া-র জন্মবার্ষিকীতে পালিত হয় 'ইঞ্জিনিয়ার্স ডে' (Engineer's Day 2019)। আজ ইঞ্জিনিয়ার্স ডে-তে আসুন দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলে দেয় এমন পাঁচ ইঞ্জিনিয়ারদের কথা।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) : আইআইটি খড়গপুরের মেধাবী ছাত্র থেকে ইঞ্জিনিয়ার। তারপর ইন্ডিয়ান রেভিনিউ অফিসার (IRS) হয়ে যান। ১৯৯৯ সালে সার্ভিস ছেড়ে দিল্লিতে সমাজকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন থেকে সংবাদমাধ্যমের নজরে আসেন। তারপর কেজরিওয়াল 'আম আদমি পার্টি--খুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন। দিল্লিতে প্রখমবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েই চমকে দেন কেজরিওয়াল। ২০১৫ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত সব আসনে জিতে সরকার গড়েন কেজরি। ইঞ্জিনিয়ার থেকে রাজনীতি-সব জায়গাতেই ছাপ ফেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
নীতীশ কুমার (Nitish Kumar): নীতীশ কুমার:বিহারের এক নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক্য়াল ইঞ্জিনিয়রিংয়ে ডিগ্রি আছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। নীতীশের কাছে সুযোগ ছিল দেশের বড় শহর কিংবা বিদেশে গিয়ে মোটা মাইনের চাকরীতে কেরিয়ার গড়ার। কিন্তু নীতীশ চেয়েছিলেন রাজ্যের জন্য করতে। জয়প্রকাশ নারায়ন-নীতি, কথাবার্তা ভাল লেগে রাজনীতিতে যোগ দেন নীতীশ। দীর্ঘ সংগ্রামের পর বিহারের ক্ষমতা পেয়ে রাজ্যের উন্নতির অনেক চেষ্টা করেন। বিহারে আধুনিক মানসিকতা তৈরি করার কারিগর তিনি। মোট পাঁচবার বিহারের মসনদে বসেন। আরও পড়ুন-শোভন চ্যাটার্জি-র বিজেপি ছাড়ার জল্পনায় যোগ তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার ফোন!
মনোহর পারিক্কর (Manohar Parrikar): দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। বিজেপি-র প্রয়াত শীর্ষ এই নেতা। আইআইটি বোম্ব-থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পরে আরএসএস-এ যোগ দেন। ২০০০ সালে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হোন। পরে আরও চারবার এই পদে বসেন। পরবর্তীকালে মোদি সরকারের আমলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গত বছর ক্যান্সারে তাঁর মৃত্য হয়।
তথাগত রায় (Tathagata Roy): পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র দীর্ঘদিনের যোদ্ধা ছিলেন। এখন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে RSS (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ)-এ যোগদ দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ছিলেন। রাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ক মাস আগেও ত্রিপুরার রাজ্যপাল ছিলেন, এখন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তিনি।
স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda): ভারতের রাজনীতিতে প্রথম বড় মাপের টেকনোক্রেট বললেন, স্যাম পিত্রোদার কথা আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের এক নামী প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন স্যাম পিত্রোদা। রাজীব গান্ধীর হাত ধরে ভারত সরকারের হয়ে কাজ করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন শ্যাম পিত্রোদা। স্যাম পিত্রোদা-র আমলে টেলিফোন সাধারণ মানুষের হাতে কাছে আসে।