কৃষক বিক্ষোভ (Photo Credits: Twitter)

উত্তরপ্রদেশ, ৪ অক্টোবর: রবিবার লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri Violence) ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ লখিমপুর খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং বলেছেন, মৃত আটজনের মধ্যে চারজন কৃষক৷ এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের গাড়ির ধাক্কায় আন্দোলনকারী কৃষকেদের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত যোগীরাজ্য। ছেলে আশীষ মিশ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় সেখানে না কি উপস্থিতই ছিলেন না তাঁর ছেলে। গোটা বিষয়টিকেই ‘ষড়যন্ত্র’ বলেছেন তিনি। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার তথ্য অনুযায়ী মৃত কৃষকরা হলেন, লাভপ্রীত সিং (২০), দলজিৎ সিং (৩৫), নচাত্তর সিং (৬০), গুরবিন্দর সিং (১৯)৷   এই ঘটনায় ১২-থেকে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷  আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এক বিবৃতিতে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা জানিয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির দুর্ঘটনায় চারজন আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ এদের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে মেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্র৷ আশিষ মিশ্রের লখিমপুর খেরি এলাকা পরিদর্শনে আসার বিরোধিতা করে কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা৷ তাঁদের লক্ষ্য করেই চালানো হয় গুলি৷ এই ঘটনায় তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে৷ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও একজন আন্দোলনকারী কৃষক৷”

যদিও অজয় মিশ্রের দাবি, ছেলের গাড়ির মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হলেও সেকানে তাঁর ছেলে উপস্থিত ছিলেন না৷ উল্টে তাঁর অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে মিলে গিয়ে আশীষ মিশ্রের গাড়িতে পাথর ছোঁড়ে, যার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ দুষ্কৃতীরা লাঠি, তলোয়ার নিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের উপরে চড়াও হয়৷ আমরা ছেলে যদি ওখানে থাকত, তাহলে বেঁচে ফিরতে পারত না৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, লখিমপুর খেরিতে আমাদের কর্মীরা আন্দোলনরত কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে৷ দুষ্কৃতীরা মিলেমিশে গিয়ে আমাদের গাড়িতে পাথর ছুঁড়লে চালক গুরুতরভাবে জখম হন৷ গাড়ি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ২ জন পিষ্ট হন৷ এরপরে আমাদের তিন কর্মী মারা যায়৷ গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ গোটা ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করেছি৷”