দিল্লি, ১৫ আগস্ট: আগামী ২৯ অক্টোবর থেকেই দিল্লির সরকারি বাসে বিনামূল্যে যাতয়াত করতে পারবেন মহিলারা। আগেই এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Chief Minister Arvind Kejriwal)। আজ ৭৩-তম স্বাধীনতা দিবসের দিন নিজের করা সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিলেন আপ প্রধান। এদিন এক সরকারি অনুষ্ঠানে কেজরি ওয়াল জানান, আগামী ২৯ অক্টোবর থেকেই এই পরিষেবা চালু হবে। রাজধানীতে বসবাসকারী মহিলাদের দিল্লি পরিবহনের বাসে (DTC) যাতায়াত করতে আর টাকাপয়সা লাগবে না। যদিও কেজরিওয়ালের এই ঘোষণাকে ভোটের আগে চমক বলছে রাজধানীর বিজেপি নেতৃত্ব। আরও পড়ুন-ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে অভ্যস্ত হয়েছি, এবার চলুন ডিজিটাল পেমেন্ট করি, লালকেল্লায় বললেন নরেন্দ্র মোদি
এদিন আম আদমি পার্টির (AAP) প্রধান কেজরিওয়াল বলেন, রাজধানীর কর্মজীবী মহিলাদের জন্যই দিল্লির সরকারি বাস বিনামূল্যে পরিষেবা দেবে। কেননা প্রচুর সাধারণ পরিবারের মহিলারা কর্মসূত্রে প্রতিনিয়ত বাইরে যাচ্ছেন, তাঁদের অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। শুধু যাতায়াতেই যদি উপার্জনের বড় অংশ খরচ হয়ে যায় তবে যে কাজে উপার্জন তা ফলপ্রসূ হয় না মোটেই। সেকারণেই এই সুযোগ সুবিধার বন্ধবোস্ত করেছে আপ পার্টির সরকার।
Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal: From 29th October, Delhi Transport Corporation (DTC) bus services will be free of charge for women. (File pic) pic.twitter.com/QO8aFFA98D
— ANI (@ANI) August 15, 2019
এদিকে কেজরিওয়াল যতই মহিলাদের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলুন না কেন তা মানতে নারাজ বিরোধী বিজেপি শিবির। তাদের মতে, সামনেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট তার আগে রাজধানীর জনগণকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল। ফের একবার ক্ষমতায় ফিরে আসার ইচ্ছে থেকেই এই জনমনে নিজেকে দয়ালু সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আম আদমির নেতা হিসেবে তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। সামনে বিধানসভা ভোট না থাকলে এসব কিছুই করতেন না তিনি। আসলে গত পাঁচ বছরে তো রাজ্যের মানুষের উন্নয়ন কল্পে কোনওরকম জনকল্যাণ মূলক কাজ তিনি করেননি, তাই হেরে যাওয়ার ভয় তাঁর বুকে বাসা বেঁধেছে। সেই থেকে নিস্তার পেতেই এই বন্দোবস্ত। কেজরিওয়ালের নয়া রূপ দেখে চমকে গিয়েছেন দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারি (Delhi BJP chief Manoj Tiwari)। তিনি বলেছেন, “মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা চালু হবে। এতো ভালকথা। তবে সরকারি বাস শহরে কোথায় তার তো দেখাই মেলে না। আসলে, জনমোহিনী সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যবাসী বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।”