জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Photo Credit: File)

শ্রীনগর, ১২ জানুয়ারি: কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের (Terrorists) সঙ্গে একই গাড়িতে যাত্রা করার সময় গ্রেফতার হলেন জম্মু-কাশ্মীরের ডিএসপি (DSP)। ওই গাড়িতে ছিল ২ জঙ্গি এবং ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং (Devendra Singh)। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই ডিএসপি গত বছর স্বাধীনতা দিবসে সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদক পেয়েছিলেন।

শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়ে। জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে দেবেন্দ্র সেগুলি মজুত করে রেখেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টে দেবেন্দ্রর বাড়ি থেকেও একটি একে-৪৭ এবং দু’টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। নাভেদকে জেরা করে আরও একটি একে-৪৭ এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়। আরও পড়ুন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নতুন বছরে প্রথম হামলা পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব ভারতীয় জওয়ানদের

জঙ্গিরা কী উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রবিবার থেকে চার দিনের ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন দেবেন্দ্র। জঙ্গিদের সঙ্গে তিনি কোনও পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাশ্মীর থেকে বহিরাগতদের হটাতে গত বছর অক্টোবর এবং নভেম্বরে কাশ্মীরে ধারাবাহিক নাশকতা চালায় জঙ্গিরা। তাতে বাংলা থেকে আপেল বাগানে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ শ্রমিক-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। উপত্যকার প্রাক্তন স্পেশাল পুলিশ আধিকারিক (এসপিও) তথা হিজবুল জঙ্গি এই নাভেদ বাবুর নেতৃত্বেই সেই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। তার পর থেকেই তার গতিবিধির উপর নজর ছিল পুলিশের। শনিবার ফোনে নিজের দাদার সঙ্গে কথা বলছিল নাভেদ। তিনি কোথায় আছে ট্র্যাক করে জানতে পারে পুলিশ। সেইসঙ্গে নাভেদরা গাড়িতে চেপে ওয়াংপো যাচ্ছে, তা-ও জানা যায়। সেই তথ্যের সূত্রেই তল্লাশি চালিয়ে নাভেদ, তার সহযোগী আসিফ এবং দেবেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, ২০১৩ সালে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন দেবেন্দ্র। ফাঁসির আগে একটি চিঠিতে তাঁর কথা উল্লেখ করেছিলেন সংসদ ভবন হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আফজল গুরু। হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির দিল্লিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে দেবেন্দ্র তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন আফজল।