করোনাভাইরাস(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল: করোনাভাইরাসকে রুখতে ও লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে সারা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের সমস্ত জেলাকে 'হটস্পট জেলা', 'নন হটস্পট জেলা' ও 'গ্রিন জোন জেলায়' ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল। যে জেলাগুলিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেই জেলাগুলি হটস্পট জেলা হিসাবে বিবেচিত হবে। একইভাবে, তুলনায় কম আক্রান্ত যে জেলাগুলিতে হয়েছে সেগুলি নন হটস্পট জেলা হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে যে সব জেলাগুলিতে কোনও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি সেই জেলাগুলি গ্রিন জোন হিসাবে বিবেচিত হবে।

আজ রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে লব আগরওয়াল বলেন, "দেশের জেলাগুলিকে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হবে - হটস্পট জেলা, নন-হট স্পট জেলা এবং গ্রিন জোন জেলা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে প্রশাসন করোনাভাইরাসের মোকাবিলা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে, যাতে যেখানে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি সেই জেলাগুলির জীবনযাত্রায় সমস্যা না হয়।"

কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে আটকে পড়েছেন প্রচুর ভারতীয় শ্রমিক। বুধবার কেন্দ্রের কাছে সেই সব শ্রমিককে দেশে ফেরানোর দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এক টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা বলেছেন, “মহামারী করোনার বিপর্যয়ে সমস্ত ব্যবসা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর জেরে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মহীন হয়েছেন হাজারেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিক। ঘরবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা তীব্র হতাসায় ডুবে যাচ্ছেন। এই চরম বিপর্যয়ের দিনে যেকোনও উপায়ে দেশে ফিরতে চাইছেন তাঁরা। সরকারের উচিত বিদেশ বিভুঁইতে পড়ে থাকা আমাদের ভাইবোনেদের দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা। সেসব জায়গায় বিমান পাঠিয়ে তাঁদের পরিজনদের কাছে ফিরিয়ে আনা হোক। একই সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”