লাদাখের শিক্ষক কিফায়াত হুসেন (Photo Credits: Twitter)

লেহ, ১৫ মে: নিজে কোভিড-১৯ পজিটিভ, তবে তাতে কি। অসুস্থতাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে শেখানোর নেশায় মেতেছেন লাদাখের (Ladakh) এই শিক্ষক। মহামারী শুরু হয়েছে দেশজুড়ে তাইবলে পড়ুয়ারা শিখবে না সেটা তিনি চান না। অসুস্থ শরীরে একটি আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই অনলাইনে প্রতিনিয়ত পড়ুয়াদের বীজগণিত, সমস্ত রকমের অঙ্কের ফর্মুলা শিখিয়ে চলেছেন তিনি। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম কিফায়াত হুসেন। তাঁর বাড়ি লেহ জেলাতেই। তিনি আইসোলেশন সেন্টার থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন অঙ্ক। কখনও বা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে তার নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের শেয়ার করে দিচ্ছেন। কেননা তাদের সামনে জীবনের বড় পরীক্ষা আসছে, এদিকে তিনি পড়ুয়াদের গিয়ে পড়াতে পারছেন না।

সবসময় হাসপাতালে ইন্টারনেট পরিষেবা থাকছে না। তাই বাধ্য হয়েই ইউটিউবে পড়ানোর ভিডিও তৈরি করে তাই পড়ুয়াদের শেয়ার করছেন কিফায়াত হুসেন। তিনি বলেন, “পড়ানো আমার কাছে শুধু চাকরি নয়, আবেগও। মহামারী জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। এতে আমার বেশ ভয় ছিল পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করানো হবে না। হুড়মুড়িয়ে পরে সিলেবাস শেষ করলে তারা কিছুই শিখবে না। সারা জীবন এই শিক্ষা তাদের ঘাড়ে বোঝার মতো চেপে বসবে। তার থেকে যখন পড়ানোর শক্তি রয়েইছে তখন কেন তা কাজে লাগাবো না। তাই চেষ্টা করলাম।” আরও পড়ুন- Maharashtra: মহারাষ্ট্রের বস্তি এলাকায় করোনা তাড়াতে হাতধোয়ার প্রচার, নার্সারির কবিতা লিখলেন শিক্ষিকা

ওই শিক্ষক যে গ্রামের বাসিন্দা সেখানে বেশ কয়েকজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের জীবাণু মেলায় গোটা গ্রামটি কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি স্থানীয় ল্যামডন মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক। প্রতিবেশীরা কোভিড-১৯ পজিটিভ জানতে পেরে নিজে থেকেই টেস্ট করিয়েছিলেন কিয়াফাত হুসেন। যাতে তিনি আক্রান্ত থাকলে পড়ুয়াদের বিপত্তি না ঘটে। তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ, তবে সেকারণে আতঙ্কে ভুগছেন না। তিনি আশা করেন খুব শিগগির সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর উপসর্গও ছিল না, নিজে থেকেই টেস্ট করিয়ে রোগ নির্ণয় করেছেন। শরীরে ভাইরাস মিতেই স্কুলের প্রিন্সিপালের নির্দেশে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।