বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্ট(Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ৮ আগস্ট: কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে কাউকে তোয়াক্কা করেনি ভারত। ৩৭০ ধারার (Article 370)  বিলোপ ঘটিয়েছে। রাগে ফুঁসছে পাকিস্তান। সামনেই ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড়সড় নাশকতা ঘটিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর মেলার পরই জোর কদমে শুরু হয়েছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। দেশের ১৯টি বিমানবন্দরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। আরও পড়ুন-৩৭০- ধারার বিলোপে কাশ্মীরে অলিখিত কারফিউ, পুলিশের তাড়ায় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তথা ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে দু’দেশের উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইমরান খান প্রশাসন। এমনিতেই ৩৭০ রদের পরেপরেই ইমরান খান ফের পুলওয়ামা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে যে পাক প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি গোষ্ঠিগুলিকে সন্ত্রাসে মদত দিলেন তা স্পষ্ট। যেন প্রতিবেশী ভারতকে চাপে রাখতে তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকেই সাহাষ্য নেবেন। ইমরানের এহেন মন্তব্যের দিনেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হাজির ছিল জইশ প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আজহার। এই ঘটনার আগের দিন নাকি পাক সেনার সঙ্গে রউফ আজহারকে বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছে। একে তো ১৫ আগস্টের আগেভাগে প্রতিবছরই দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এবার আবার ৩৭০-এর গেরো তাই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ছাড়া গতি নেই। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য ২০টি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তথা ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে দু’দেশের উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইমরান খান প্রশাসন।

একসঙ্গে অনেক মানুষকে মেরে ফেলা দেশকে সবদিক দিয়ে বিপর্যস্ত করাই এই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য হয়ে আসছে। তাই যাত্রীবাহী বিমানের পাশাপাশি প্যারাগ্লাইডার, হট এয়ার বেলুন ও ড্রোনের উপরেও থাকছে নিরাপত্তা বলয়। ‘দ্য বুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি’ (বিসিএএস) প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ কর্তা, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছে। নজরে রয়েছে দেশের মেট্রো শহরগুলির ১৯টি বিমানবন্দর। যার মধ্যে নাম রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরেরও। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকায় শুধুমাত্র বিমানবন্দরই নয়, সতর্ক করা হয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি, এয়ারস্ট্রিপ, এয়ারফিল্ড, হেলিপ্যাড, ফ্লাইং স্কুল, বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকেও।