Delhi Election Results 2020: 'গোলি মারো'-র মত উস্কানিমূলক মন্তব্যের ফল ভালো হয়নি, দিল্লি ভোটের বিশ্লেষণে বললেন অমিত শাহ
অমিত শাহ (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির বিধানসভা (Delhi Election Results 2020) ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। যার জন্য দলের রণকৌশলকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে Times Now Sumit 2020-এ এসে তাঁর উপলব্ধি, 'গোলি মারে'র (Goli Maro) মতো মন্তব্য বা ভোটকে ভারত-পাক ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করা সঠিক হয়নি। ভোটে বিজেপি নেতাদের 'হেট স্পিচ' রাজধানীর ভোটাররা হয়তো ভালো ভাবে নেয়নি। এমনটাও অভিমত ব্যক্ত করলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য।

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। দলের একাধিক তারকাকে দিল্লির ভোটপ্রচার দেখা গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৮টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। আর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির এই জনাদেশ তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন বলে এ দিন Times Now Sumit-এ মন্তব্য করেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে জানান, শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য বিজেপি লড়াই করে না।এর আগে TimesNow সামিটে দাঁড়িয়েছে দেশের উন্নয়নের জন্য দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার তিনি বলেছিলেন, 'আমার প্রিয় দেশবাসী, সকলেই সকলের দায়িত্ব পালন করুন। কারণ আপনারাই দেশের প্রধান কাণ্ডারি। তাই আপনারা যদি নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা ঠিকঠাক পালন করেন, তাহলে সরকারেরও অনেক দায়িত্ব কমে। দেশও দ্রুত অগ্রগতির পথে হাঁটতে পারে।' আরও পড়ুন: LPG Price Hike: রান্নার গ্যাসের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি, পুরনো ছবি পোস্ট করে স্মৃতি ইরানিকে খোঁচা রাহুলের

ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহকে (Amit Shah) স্বাগত জানান টাইমস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত জৈন। পরে মোদী নিজের বক্তব্যে বারবার তুলে আনেন সেই ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির কথা। বলেন, 'করদাতাদের আগের মতো আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। মানুষ যদি নিজের-নিজের কর ঠিকঠাক দেন, তাহলে সরকারের ওপর থেকেই বোঝা কমে যায়। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এরজন্য ঠিকই জনগণ সুফল পাচ্ছেন। আজ যিনি দরিদ্র, তিনিই উপরে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন। ভারত আজ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'এ দিনের অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের (Press) ভূমিকা নিয়েও নিজের মত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'স্বাধীনতার সময় একেকটা ছোটছোট আঞ্চলিক সংবাদপত্রও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। শুধু তাই নয়, সেই কাগজ দেখেই বহু মানুষ এগিয়ে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতেন। আজ দেশের অগ্রগতির জন্য সংবাদমাধ্যমকেও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এগিয়ে এসে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।'