দিল্লি, ৩০ আগস্ট: প্রথম মোদি সরকারের আমলে সব থেকে বেশি আর্থিক জালিয়াতি হয়েছে। আর এর কারণে বিপাকে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি। গতকাল রিজার্ভ ব্যাংক এই জালিয়াতির রিপোর্ট পেশ করেছে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতা রমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লির শাস্ত্রী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (PSU) জুড়ে যাচ্ছে, এর জেরে কোনও ব্যাংক কর্মীই চাকরি খোয়াবেন না। বরং এসপিআই-এর পরবর্তী তালিকায় গুরুত্বানুসারে এই ব্যাংকগুলির নাম আসবে। আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সুদের হার কমানো হবে। সেখান থেকে গৃহঋণ, কার লোন, ব্যক্তিগত ঋণের সুবিধা থাকবে। যা ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া– এই তিনটি ব্যাংক মিশে গিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হবে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পর এটিই হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হবে। এদের ব্যবসার আয়তন হবে ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এরই পাশাপাশি মিশে যাব কানাড়া ব্যাংক ও সিন্ডিকেট ব্যাংক। এই দুই ব্যাংকের সমষ্টিগত ব্যবসার পরিমাণ ১৫ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। ফলে এরা মিশে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পরিণত হবে। পাশাপাশি পঞ্চম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ইউনিয়ন ব্যাংক, অন্ধ্ৰ ব্যাংক ও কর্পোরেশন ব্যাংক। কারণ এদেরও সংযুক্তিকরণ ঘটবে। একইভাবে মিশে যাবে এলাহাবাদ ব্যাংক ও ইন্ডিয়ান ব্যাংক। এদের দুজনের মোট ব্যবসার আয়তন হল ৮ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা। এরা হবে দেশের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। আরও পড়ুন-Income Tax Slabs: আয় করে মিলতে পারে ছাড়! বছরে ৫ লক্ষ টাকার ওপর আয়ে ১০ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব
দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে মজবুত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন নির্মলা সীতা রমণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, এর আগেই স্টেট ব্যাংকের অ্যামালগ্যামেশন হয়েছে। এর ফলে এসবিআই এখন দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এবার সেই একই পথে হেঁটে দেশের সব বড় ব্যাংককেই একাধিক ছাতার তলায় আনা হল।