নতুন দিল্লি, ২৮ জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসের লালকেল্লায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের আন্দোলনের জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেতা দীপ সিধু (Deep Sidhu) ও গ্যাংস্টার থেক সমাজকর্মী হয়ে ওঠা লাখা সিধানার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারির আগেই পলাতক দীপ সিধু। দীপ সিধু সেদিন লালকেল্লায় প্রবেশ করে সেখানে পতাকা উড়িয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই নিজেকে বাঁচাতে আরও একটি ভিডিও করেন দীপ সিধু বলেন, এটা তাঁদের বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কেন্দ্রের গৃহীত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাগ। একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার দিন লালকেল্লার পরিস্থিতি যখন সংঘর্ষের দিকে মোড় নিচ্ছে তখন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন দীপ সিধু। একেবারে মোটরবাইকে চেপে লালকেল্লা ছাড়েনওই বিজেপি নেতা। আরও পড়ুন-Winter In West Bengal: টানা পারদ পতনে কাঁপছে রাজ্য, জানুয়ারির শেষেও শীতের চওড়া ইনিংস
পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে তারপর থেকেই নিখোঁজ দীপ সিধু। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা সানি দেওলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন দীপ সিধু। সানি দেওল গুরদাসপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতে এখন সাংসদ। সেই সময় দেওল পরিবারের সঙ্গে দীপ সিধুর একটা মধুর সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে দীপ সিধুর থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেন সানি দেওল। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের হরিয়ানা প্রধান গুরনাম সিং চৌধুরি দীপ সিধুর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “আন্দোলনকারীদের উসকানি দিয়ে ভুলপথে চালিত করেছেন দীপ সিধু এবং তাঁদের লালকেল্লায় নিয়ে গিয়েছেন। লালকেল্লায় আন্দোলনরত কৃষকদের নেতৃত্বে ছিলেন দীপ সিধু। কৃষকরা কখনওই সেখানে যেতে চাননি।” লালকেল্লার ঘটনার জন্য একইভাবে দীপ সিধুকেই দুষেছেন স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব।
সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার সামনে কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য দীপ সিধুকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। এমন অভিযোগ করেছে আম আদমি পার্টি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির ভিআইপি এলাকা-সহ শহরতলিতেও ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের রেশ। সাধারণতন্ত্র দিবসে দিনভর এই নিয়েই সরগরম ছিল দিল্লি।