(Photo Credits: AFP)

নতুন দিল্লি, ২৫ জানুয়ারি: চিনের উহান-সহ (Wuhan) গোটা দেশেই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) জেরে রীতিমতো স্তব্ধ। দেশের বহু এলাকায় মানুষ গৃহবন্দী হয়েছে। এই ভাইরাস আক্রান্তের ফলে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪১ জন মারা গেছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে ৮৩০ থেকে ১,২৮৭ ছুঁয়েছে। হুবেই সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই হুবেই (Hubei) উহান শহরের রাজধানী। ভাইরাস সংক্রমিত শহরগুলিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৪১ মিলিয়ন মানুষ সমস্যায় পড়েছে। তবে যেভাবে রোগের মোকাবিলায় নেমেছে তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে চিন। শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Health Ministry) ট্রাভেল অ্যাডভাইসারি (Travel Advisory) জারি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ভাইরাস সংক্রমণের পদ্ধতিটি অস্পষ্ট। তবে, জানা যাচ্ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দিয়ে এটি ছড়াচ্ছে। লক্ষণের মধ্যে প্রধানত জ্বর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে।

এদিকে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আজ জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্ট্রাল টিম গঠন করে সাতটি রাজ্যে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন। এই সাতটি রাজ্য হল দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তেলাঙ্গানা ও কেরালা। কারণ দেশে মধ্যে নতুন দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরেই থার্মাল স্ক্রিনিং-র ব্যবস্থা রয়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিন, করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১; আক্রান্ত ১১ ভারতীয়

চিনের (China) উহান ও শেনঝান প্রদেশে প্রথম বিদেশি হিসেবে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ বছরের এক প্রবাসী ভারতীয় শিক্ষিকা। কেরালার ৭ জন, মুম্বইয়ের ২ জন এবং ব্যাঙ্গালোর এবং হায়দরাবাদের ১ জন ভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গত শুক্রবার থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন শেনঝানের একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক প্রীতি মাহেশ্বরী (Preeti Maheshwari)। তিনি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেই রোগেরই চিকিত্‍‌সা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডাক্তাররা। তবে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভারতীয় মূল্যে ১ কোটি টাকা। এ কথা জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকার স্বামী অশুমান খোয়াল। দিল্লির ব্যবসায়ী অংশুমান জানিয়েছেন, ICU-তে চিকিত্‍‌সা চলছে প্রীতির। তাঁকে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। প্রীতির পরিবার আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতে পৌঁছেছে। প্রীতি মাহেশ্বরীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য তাঁর ভাই মণীশ থাপা বেজিংঙে ভারতীয় দূতাবাসে পৌঁছেছেন। এছাড়া তিনি ভারতের বিভিন্ন এনজিও-র সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।

পরিস্থিতির উপড় কড়া নজর রাখছে চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। সেদেশে থাকা কোনও ভারতীয় এই ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়লে তাদের জন্যে খোলা হয়েছে হটলাইন নম্বর। ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, -০৮৬১-৮৬১২০৮৩৬২৯ এবং ০৮৬১-৬১২০৮৩৬১৭ নম্বরে ফোন করে চিনে থাকা যে কোনও ভারতীয় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করতে পারেন। পাশাপাশি বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের অফিসায়ার টুইটার ও পেসবুক অ্যাকাউন্টেও যোগাযোগ করে নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে পারেন ভারতীয়রা।