Coronavirus Outbreak: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিন, করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১; আক্রান্ত ১১ ভারতীয়
চিন (Photo Credits: IANS)

বেজিং, ২৫ জানুয়ারি: চিনের উহান-সহ (Wuhan) গোটা দেশেই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) জেরে রীতিমতো স্তব্ধ। দেশের বহু এলাকায় মানুষ গৃহবন্দী হয়েছে। এই ভাইরাস আক্রান্তের ফলে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪১ জন মারা গেছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে ৮৩০ থেকে ১,২৮৭ ছুঁয়েছে। হুবেই সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই হুবেই (Hubei) উহান শহরের রাজধানী। ভাইরাস সংক্রমিত শহরগুলিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৪১ মিলিয়ন মানুষ সমস্যায় পড়েছে। তবে যেভাবে রোগের মোকাবিলায় নেমেছে তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে চিন।

লুনার নিউ ইয়ার চিনের অন্যতম মূল উৎসব। ঘটে করে এই উৎসব তারা পালন করে। তবে এবছর করনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে। বন্ধ দোকানপাট, স্কুল, কলেজ। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উহান সেন্ট্রাল সিটিতে ১০ দিনের মধ্যে নতুন হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। তার কাজ চলছে জোর কদমে। ৩ ফেব্রুয়ারি নতুন হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতালের আয়তন হবে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। তাতে একইসঙ্গে হাজার রোগীর চিকিৎসা হতে পারবে। আরও পড়ুন, চিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ভারতীয় প্রীতি মাহেশ্বরী, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১ কোটি টাকা

এদিকে, চিনের (China) উহান ও শেনঝান প্রদেশে প্রথম বিদেশি হিসেবে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ বছরের এক প্রবাসী ভারতীয় শিক্ষিকা। কেরালার ৭ জন, মুম্বইয়ের ২ জন এবং ব্যাঙ্গালোর এবং হায়দরাবাদের ১ জন ভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গত শুক্রবার থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন শেনঝানের একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক প্রীতি মাহেশ্বরী (Preeti Maheshwari)। তিনি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেই রোগেরই চিকিত্‍‌সা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডাক্তাররা। তবে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভারতীয় মূল্যে ১ কোটি টাকা। এ কথা জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকার স্বামী অশুমান খোয়াল। দিল্লির ব্যবসায়ী অংশুমান জানিয়েছেন, ICU-তে চিকিত্‍‌সা চলছে প্রীতির। তাঁকে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। প্রীতির পরিবার আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতে পৌঁছেছে। প্রীতি মাহেশ্বরীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য তাঁর ভাই মণীশ থাপা বেজিংঙে ভারতীয় দূতাবাসে পৌঁছেছেন। এছাড়া তিনি ভারতের বিভিন্ন এনজিও-র সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।