নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল: ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের (Coronavirus cases in India) গতি হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১০৭৬ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৩৯ জন। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৬ জন। ১ হাজার ৩০৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ১০৭৬ জন। বিশ্বে যখন করোনা আ্রান্তের সংক্যা ১.৯ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। তখন ভারতেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
সবমিলিয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেল কি না তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। মহারাষ্ট্রের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯০০। রাজ্যে ১৭৮ জন করোনার বলি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫৯ জন। পরেই রয়েছে রাজধানী, সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। তৃতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত ১২৩০ জন। আরও পড়ুন- UN Chief Antonio Guterres: এখন মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়, ট্রাম্পের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে রাষ্ট্রপুঞ্জ
38 deaths and 1076 new cases reported in last 24 hours. India's total number of #Coronavirus positive cases rises to 11,439 (including 9756 active cases, 1306 cured/discharged/migrated and 377 deaths): Ministry of Health and Family Welfare pic.twitter.com/adKkJ593If
— ANI (@ANI) April 15, 2020
আজ যখন দেশে এদিনে হাজারের উপরে লোক আক্রান্ত হচ্ছে। ঠিক আগের দিনই লকডাউন বাড়ানোর কতা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন বলবৎ থাকবে। লকডাউনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে গতকাল ১৪ এপ্রিল। আজ থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হল। বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সংগঠনের পরামর্শ মেনে মানুষের জীবন বাঁচাতে লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে, দেশের যেসব রাজ্যের নির্দিষ্ট কোনও জেলার অংশে যদি একজনও করোনা রোগী না থাকে তবে সেখানকার লকডাউন সামান্য হলেও শিথিল করা হতে পারে ২০ এপ্রিলের পরে। সেখানে বাজারহাট খুলতে পারে। বিকিকিনি চলতে পারে। তবে সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।