নয়া দিল্লি, ১১ জুলাই: কর্নাটকে রক্তাক্ত দশার মাঝে গোয়ায় কার্যত কোমায় চলে গেল কংগ্রেস (Congress)। গোয়ায় খোদ বিরোধী দলনেতাও সরকারপক্ষে চলে গেলেন। দেশজুড়ে কংগ্রেসের রক্তাক্ত দশা এবার ICU-তে গেল। গোয়ায় ১৪জন বিধায়ক ছিল কংগ্রেসের। ভারতের সেরা ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের এই রাজ্যের সেখান থেকে ১০ জন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেল।
দলত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। গতকাল রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন ওই ১০ কংগ্রেস বিধায়ক। আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ থেকে বিরাট কোহলিদের বিদায়ের পর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
এদের মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত বাবু কাভেলকর। সূত্রের খবর, নতুন সরকারে তাঁকেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। দলত্যাগী ১০ বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন বাবু কাভালেকর, বাবুশ মোনসেরাটে, জেনিফার মোনসেরাটে, টোনি ফার্নান্ডেজ, ফ্রান্সিস সিলভেরিয়া, ফিলিপে রডরিগজ, ক্লাফাসিও, উইল্ডফ্রে ডি সিলভা, নীলকান্ত হালানকার ও ইসিডোরে ফার্নান্ডেজ। লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু গোয়ায় দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বরাবরই দল বদলের জন্য খবরে থাকা গোয়া এবার পুরোই পদ্মে ছেয়ে গেল।
গোয়ায় অনৈতিকভাবে সরকারে আছে বিজেপি, এমন অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের। কারণ ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি আর কংগ্রেসের আসন একেবারে কাছে ছিল। বিজেপির ১৭, কংগ্রেসের ১৫, এনসিপির ১, মহারাষ্ট্র গো মন্তক পার্টির ১, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির ৩ বিধায়ক। কিন্তু দশ বিধায়কের কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানে গোয়ায় পদ্ম সরকার আরও মজবুত হল। কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সরকারের হাতে বিধায়ক সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৭।
অন্যদিকে, কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু হয়ে পড়া কুমারস্বামী সরকার এখন শুধু সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগের রাস্তা খুঁজছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত রবিবারই কর্ণাটকের জোট সরকারের ১৩ বিধায়ক ইস্তফা দিতে যান স্পিকারের সচিবালয়ে। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ফের দলে টানতে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ছাড়া সব মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। তাদের শরিক দুই নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর মন্ত্রীপদ ছেড়ে সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন।