বালিয়া, ১২ ফেব্রুয়ারি: ২০১২ সালে দিল্লির রাজপথে চলন্তবাসে নারকীয় ধর্ষণের শিকার হন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী নির্ভয়া। সমস্ত রকম চিকিৎসা সহায়তাও নির্যাতিতার বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সেই নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের মামলার আসামীরা এখনও ফাঁসির দড়িতে ঝোলেনি। এনিয়ে বুধবারও দেশের বিচার ব্যবস্থার উপরে হাতাশ হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। গোটা দেশ যখন এই দোলাচালের মধ্যে ঠিক তখনই নির্ভয়ার স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (CMO) বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বালিয়াতে (Ballia)।
নির্ভয়া কাণ্ডের পর নির্যাতিতার শ্রদ্ধায় বালিয়াতে সরকারি হাসাপাতাল তৈরি হয়। সেখানে চিকিৎসকের বড় অভাব। এদিন মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা হাসপাতাল পরিদর্শনে এলে স্থানীয়রা তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত অভাব অভিযোগ জানাতে থাকেন। তখনই বলেন, হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসক নেই একজনও। এই কথায় দারুণ রেগে যান পরিদর্শক স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি বলেন, “ওই গ্রাম থেকে কজন মেডিক্যাল পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তার হয়েছেন যে গ্রামের হাসপাতালে ডাক্তার আসবে। ৭০ বছরে যে গ্রাম একজনও ডাক্তার দিতে পারেনি, তাহলে সেখানকার বাসিন্দারা কেন গ্রামের হাসপাতালে ডাক্তারের আশা করেন? হাসপাতাল তৈরি করা চিকিৎসকের কাজ নয়। যে গ্রাম এখনও একজন চিকিৎসকের জন্ম দিতে পারেনি, আরআপনার সেই গ্রামের বাসিন্দা হয়ে এত বড় দাবি করছেন।” আরও পড়ুন-Electricity Disconnected At Mayawati's House: ৬৭ হাজারের বকেয়া বিল মেটানো হয়নি, কাটা গেল মায়াবতীর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ
Ballia:Verbal spat erupted b/w Chief Medical Officer of a primary healthcare center&relative of 2012 Delhi gang-rape case,after villagers sit on a protest demanding doctors&basic facilities at center. CMO says,"Who's Nirbhaya?If she was studying medicine,why did she go to Delhi?" pic.twitter.com/Y91dEx9SRj
— ANI UP (@ANINewsUP) February 12, 2020
মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথা শুনে বাসিন্দাদের কয়েকজন আগ বাড়িয়ে বলে ফেলন যে সরকার নির্ভয়ার নামে এই হাসপাতাল গড়ে দিয়েছে। এরপরই সিএমও-কে বলতে শোনা যায়, “সে যখন বালিয়ার বাসিন্দা তখন তাকে কেন দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল?” সংবাদ মাধ্যমে মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার মন্তব্য শুনে বেজায় খেপে গিয়েছেন আশাদেবী। তিনি বলেছেন, সিএমও-র মন্তব্য লজ্জাজনক। এরপরই সিএমও-র পদত্যাগের দাবিতে সরব হন তিনি। এই বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন নির্ভয়ার মা।