লখনউ, ২০ সেপ্টেম্বর: আইন পড়ুয়া তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালেই গ্রেপ্তার হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন উত্তেজক বার্তালাপ-সহ বডি ম্যাসাজ ও ধর্ষণ হেনস্তা, ব্ল্যাকমেলিংয়ের যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন চিন্ময়ানন্দ। গ্রেপ্তারির পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বলেন তদন্তকারী দলের প্রধান নবীন অরোর। এরপরেই যাবতীয় তথ্যাদি মেলানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। নবীন অরোরা আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারির পর নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত চিন্ময়ানন্দ (Chinmayanand) এসব নিয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি। এই ঘটনায় বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী চিন্ময়ানন্দকে। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌনসঙ্গম’-এর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ও আর্থিক জরিমানা হতে পারে তাঁর। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক বছর ধরে কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীকে নানা ভাবে নিগ্রহ করেছেন তিনি। তরুণীর স্নান করার দৃশ্যের ভিডিও তুলে, হুমকি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন তিনি। এর পরেই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন ওই তরুণী। অভিযোগ জানান পুলিশে। ফেসবুকে ভিডিও করে জানান ঘটনার কথা। তার পরেই আচমকা অপহৃত হন তিনি। ছ’দিন পরে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। আরও পড়ুন-আইনের পড়ুয়াকে লাগাতার ধর্ষণ, অবশেষে গ্রেপ্তার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ
Naveen Arora, Special Investigation Team Chief: Swami Chinmayanand has admitted to almost every allegation levelled against him,including sexual conversations&body massage.Circumstantial evidences also being examined.He said he doesn’t want to say more as he's ashamed of his acts https://t.co/d8zfRm0f7K pic.twitter.com/DhdrjN8FOF
— ANI UP (@ANINewsUP) September 20, 2019
এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী টিম অর্থাৎ সিট তৈরি হয়। তারা তরুণীর হোস্টেল ঘুরে দেখেন। সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নাকি ধর্ষণের সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ পাননি তাঁরা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে নিগৃহীতা অভিযোগ তোলেন, চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে ইচ্ছা করে ঢিলেমি করছে পুলিশ। তিনি বলেন “দু’দিন হয়ে গেল আমি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সব বলে এসেছি, এখনও চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করা হল না। মনে হচ্ছে চিন্ময়ানন্দকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সিট এবং আমাদের বিপাকে ফেলার জন্য কিছু খুঁজছে। সরকার যদি আমার মৃত্যু চায়, তাহলে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়ে মরব।”