নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি: সিয়াচেন, লাদাখ, ডোকলাম। মাঝেমধ্যেই এই তিন জায়গার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে ওঠে। পুরু বরফের স্তরের মধ্যে দেশের সীমান্তে পাহাড়া দিচ্ছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরা (Indian Army Jawans)। সামান্য কিছু শুকনো খাবার থাকে তাঁদের ঝুলিতে। সেও প্রায় জমে ক্ষীর হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। সেই নিয়েই দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ধরে এই জায়গাগুলিতে পাহাড়ায় ব্যস্ত সেনারা। সম্প্রতি কম্পট্রোলার অডিটর জেনারেলের (Comptroller and Auditor General) তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে থেকে জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত হাই-অল্টিটিউডে থাকা ভারতীয় সেনাদের (Indian Army) রেশনের চাল, ডাল সবকিছুই শেষ। এমনকী, ওই তীব্র ঠান্ডায় থাকার জন্য পর্যাপ্ত যা জামাকাপড় রয়েছে। তা পর্যাপ্ত নয়।
তিন জায়গাতেই সারাবছরই তাপমাত্রার পারদ থাকে কমবেশী মাইনাস ৫০ ডিগ্রির আশেপাশে। সেই তাপমাত্রায় যুজতে গেলে সামান্য কিছু জিনিসপত্রের যে প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই জিনিসেরই অভাব দেখা গিয়েছে ভারতীয় সেনার প্রধান দফতরে। সেই পুরো রিপোর্টটি পেশ করেছে ক্যাগ। ক্যাগের (CAG) এই রিপোর্টটি সংসদে পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টটি থেকে জানা গিয়েছে, ওই হাই-অল্টিটিউডে থাকার জন্য এবং পুরু বরফের স্তরের মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের জন্য যে ধরণের বুটের প্রয়োজন ছিল। সেই বুটেরও অভাব দেখা দিয়েছে ভারতীয় সেনার প্রধান দফতরে। আরও পড়ুন: Kolkata Weather Update: সপ্তাহের শেষে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এমনকী, অত ঠান্ডায় এবং অত উচ্চতায় থাকার জন্য যতটুকু খাবার এবং পোশাকের প্রয়োজন রয়েছে সেটিও মেলে না সেনাকর্মীদের। ২ বছর আগের অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬-র ক্যাগ রিপোর্টে এটাই প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি যা জমা পড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট মূল্যে যে খাবার ভারতীয় সেনাদের দেওয়া হয়, তাতে প্রতিদিনের ক্যালোরির চাহিদা মেটে না তাঁদের। ওই টাকায় সাধারণ খাবার নিলে যে পরিমাণে দেওয়া যায়, কিন্তু এই ধরণের মূল্যবান খাবার সেই দামে পাওয়া যায়না।
ক্যাগ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সেনার খাবারের ব্যবস্থার জন্য ওপেন টেন্ডার ডাকে। কিন্তু নর্দার্ন কমান্ডে তেমন কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি।