দিল্লি, ৬ মে: বয়েস লকার রুম' (Bois Locker Room ) গ্রুপের অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ইনস্টাগ্রাম গ্রুপটি (Instagram group) ফাঁস হয়ে যাওয়ার দু'দিন পরে এই গ্রেপ্তার হয়। ঘটনার তদন্তে এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বয়েস লকার রুমের তদন্তে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেল (Cyber Crime Cell) ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ৪ মে এই মামলায় একটি কিশোর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।" ইতিমধ্যেই এই গ্রুপ ও সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ইনস্টাগ্রামের থেকে চেয়ে পাঠনো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোট ২১ জনকে পুলিশ সনাক্ত করেছে এবং নেটিশ পাঠিয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের অভিভাবকদের সামনে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রুপের ১৫ সদস্যের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক টেস্টে পাঠানো হয়েছে। আরও পড়ুন: Hizbul Terrorist Riyaz Naikoo Killed: দিনভর এনকাউন্টারের পর পুলওয়ামায় সেনার গুলিতে নিকেশ হিজবুলের জঙ্গি নেতা রিয়াজ নাইকু
এদিকে আজ গুরুগ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোর ১২ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোশাল মিডিয়ায় ওই ছেলেটির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল এক কিশোরী। 'বয়েস লকার রুম' গ্রুপের ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে স্কুলছাত্রীদের ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রদের কথোপকথন নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তখনই এই ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, বয়েজ লকার রুমের ঘটনা সামনে আসার পরই এক কিশোরী নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে 'Me Too' পোস্ট করে অভিযোগ আনে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে। তার পরই গুরুগ্রামের কিশোর একটি অ্যাপার্টমেন্টের ১২ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছে, "সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে কিশোরের মোবাইলের মেসেজ রিট্রিভ করে জানা গেছে, বয়েজ লকার রুমের সদস্য এক কিশোর ছেলেটিকে মেসেজে জানিয়েছিল যে তাকেও পুলিশ জেরা করবে।"