বন্ধু প্রীতি, বিহারে অরুণ জেটলির মূর্তি স্থাপন করবেন নীতিশ কুমার
অরুণ জেটলি(Photo Credit: PTI)

পাটনা, ৩১ জুলাই: রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় অনেককেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি (Arun Jaitley)। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইন ও অর্থমন্ত্রীর দূরদর্শিতা নিয়ে এখন সব স্তরেই আলোচনা চলছে। এরই মাঝে প্রিয় বন্ধুর মূর্তি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর বন্ধু অরুণ জেটলির জন্মদিন। তাঁর আগেই তৈরি হয়ে যাবে তাঁর মূর্তি। জন্মদিনের দিনেই জেটলির মূর্তি (statue) উন্মোচন করবেন তিনি। গত শনিবার অরণ জেটলির মৃত্যু হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে ফেলার শোকে মুহ্যমান নীতিশ কুমার। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই নিজের রাজ্যে বন্ধুর আবক্ষ মূর্তি বসানোর কথা তিনি ঘোষণা করলেন।

আজ যে জোট শরিক, কাল যে চরম শত্রু! সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এটা এখন জলভাত। নিজের দলেই বন্ধু পাওয়া যায় না তো শরিক দলে! কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক বন্ধু সম্পর্ককে যেন তার অনেক উপরে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার পাটনায় ঘোষণা করলেন বিহারে বসতে চলেছে বন্ধু  অরুণ জেটলির মূর্তি। দীর্ঘদিন এনডিএ-এ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন নীতিশ কুমার। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় রেলমন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন সেই সময় থেকেই অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ২০১৪-র ভোটের আগে বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার পর, এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতিশ। পনেরোর বিধানসভা ভোটে বিজেপি-কে রুখতে জোট বেঁধে লড়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে। রুখে দিয়েছিলেন বিজেপি-কে। অনেকে বলেন, তারপরেও জেটলি-নীতিশ সম্পর্ক আগের মতোই ছিল। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই জেটলি তাঁকে ফিরিয়ে আনেন এনডিএ-তে। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে আস্থা ভোটে বিজেপি তথা এনডিএ-এর সমর্থন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নীতীশ। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এ সবটাই ছিল জেটলির মস্তিষ্ক প্রসূত। আরও পড়ুন-অনুপ্রবেশকারীতে ভরেছে রাজধানী, এবার দিল্লিতে এনআরসি হবে, কী বললেন বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি?

দিল্লির রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নীতীশ বিহারে ফিরে গেলেও, রাজধানীতে নীতীশ কুমারের বড় ভরসার জায়গা ছিলেন জেটলি। আপদে, বিপদে তাঁর কাছেই ছুটতেন নীতীশ। জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে নিতীশের বিবাদের সময়ে হোক বা রাজ্যপালের সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্নে, তর্কের সময়ে-জেটলির বরাবরই আইনি পরামর্শ দিতে তাঁর পাশে থেকেছেন। গত শনিবার জেটলির মৃত্যুতে নীতিশ যে বন্ধু হারা হলেন তা একেবারেই সঠিক।