অনুপ্রবেশকারীতে ভরেছে রাজধানী, এবার দিল্লিতে এনআরসি হবে, কী বললেন বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি?
মনোজ তিওয়ারি(Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ৩১ আগস্ট: এবার রাজধানীতে এনআরসি (NRC) চালুর কথা ঘোষণা করলেন দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwari)। শনিবার বেলা দশটা নাগাদ এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতেই সমগ্র অসম জুড়ে হুলুস্থূলু পড়েছে। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ১৯ লক্ষ জনের নাম। তবে তাঁরা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আইনি পথে যেতে পারেন। সেই সুযোগও খোলা থাকছে। প্রথমেই ফরেনার ট্রাইব্যুনালে তাঁকে আবেদন করতে হবে। এনিয়ে বিশদ বিবরণ সরকারের তরফেই জানানো হয়েছে।

এদিকে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকা প্রকাশ হতেই দিল্লিতে এনআরসি-র তালিকা প্রকাশের দাবি জানালেন মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, রাজধানীতেও এনআরসির প্রয়োজন। দিনদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা (Illegal immigrants) রাজধানীর জন্য ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এখানেও আমরা এনআরসি চালু করব। তবে মনোজ তিওয়ারির এনআরসি প্রীতি নতুন নয়। অসমে এনআরসি হব, এটুকু শোনার পর থেকেই তিনি এই সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আসছেন। এনিয়ে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখও খুলেছিলেন। রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন ২০ লাখ মানুষ। উদ্বাস্তুর সঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর তফাত রয়েছে। সীমান্ত পার করে এসে পার করে এদেশে এসে এরা নথি বানিয়ে নিচ্ছে। এদের অনেকেই দিল্লিতে বাস করেন। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এমনিতেই মানুষের কর্মসংস্থান করতে সরকারের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ওপরে এরা চেপে বসেছে। এরা শুধু দেশের বোঝাই নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এরা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আরও পড়ুন-এই এনআরসি-র প্রয়োজন নেই যেখানে প্রকৃত ভারতীয়রাই বাদ পড়েছেন, চূড়ান্ত তালিকায় হতাশ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

উল্লেখ্য, এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির অনেক নেতা মন্ত্রীও। মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আবার এই এনআরসি-র উপরে ভরসাই রাখতে পারেননি। বলেছেন, আমরা আর এনআরসি-তে আগ্রহী নই। এই এনআরসি করে লাভ বিশেষ কিছু হবে না। যাঁরা প্রকৃত ভারতীয় তাঁদের নামই এই তালিকাতে নেই। উল্টে বিদেশিদের নাম থেকে যাচ্ছে। ভূমিপুত্র জেলার বাঙালির নাম বাদ পড়ছে। অথচ বাংলাদেশ লাগোয়া গ্রাম গুলিতে সকলের নাম এনআরসি-তে আছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে কথাও বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে তিনি কিছুটা শান্ত হন। তবে হতাশা লুকোতে পারছেন না।