বেঙ্গালুরু : খাটের নীচে প্রায় ৬ ঘণ্টা লুকিয়ে থেকে স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করলেন স্বামী। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ভরত কুমারের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে বিয়ে হয় বিনতার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। ভরত কুমার এবং বিনতার সংসারের মাঝে আচমকাই হাজির হন শিবকুমার ওরফে শিবরাজ। চাকরি খুঁজতেই একই গ্রামের বাসিন্দা বিনতার বাড়িতে হাজির হন শিবকুমার।
বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরে শিবকুমারের যাতে চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যায়, সেই চেষ্টা শুরু করেন বিনতা। এসবের মাঝে আচমকাই বিনতাকে ভালবাসার প্রস্তাব দিয়ে বসেন শিবকুমার। পুরনো বন্ধুর প্রস্তাবে প্রথমে না করে দেন বিনতা কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনননি শিবকুমার। চাকরি পেয়ে তিনি বিনতার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করলেও, মাঝে মধ্যেই সেখানে চলে আসতেন। যা নিয়ে বিনতা এবং ভরতের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। বিনতা শিবকুমারকে অগ্রাহ্য করলে, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা (Suicide) করবেন বলে হুমকি দিতে শুরু করেন। অন্যদিকে ভরতও স্ত্রী এবং তাঁর বন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে জেরা শুরু করেন।
আরও পড়ুন : Sona Mohapatra receives death : হিন্দু দেবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য? সোনা মহাপাত্রকে খুনের হুমকির অভিযোগ
শিবকুমারের সঙ্গে বিনতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে ২৫ মার্চ প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ঘরের খাটের নীচে লুকিয়ে ছিলেন ভরত। এরপর সুযোগ বুঝে শিবকুমারকে হাতের নাগালে পেয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় শিবকুমারকে। ছুরি দিয়ে পরপর কয়েকবার আঘাতের পর শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় শিবকুমারের।
বেঙ্গালুরু পশ্চিমের পুলিশ (Police) কমিশনার এম পাটিল জানান, বিনতা শৌচাগারে গেলে, বাইরের দিক থেকে দরজা বন্ধ করে তাঁকে আটকে রাখেন ভরত। এরপর শিবুমারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। ঘটনার আকষ্মিকতায় চমকে উঠেছে পুলিস। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর ভোর ৪টে নাগাদ পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রেফতার করে ভরত কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে।