অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদি, মমতা ব্যানার্জি-র। (File Photo)

নয়া দিল্লি, ২৪ অগাস্ট:  অরুণ জেটলির প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (PM Mamata Banerjee)। তাঁর প্রথম মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন," আমি আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুকে আজ হারালাম। যে কোনও ইস্যুতে ওর গভীর ঢুকে চিন্তাকরা এবং বিষয়টা ভাল করে বোঝার মত ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে। ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা সবাই ওর অভাব অনুভব করব।'' এদিকে, অরুণ জেটলির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সংযুক্ত আরবআমিরশাহিতে সফররত নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর অরুণ জেটলি-র স্ত্রী ও পুত্র প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন দেশের স্বার্থে তিনি যেন এই মৃত্যুর কারণে বিদেশ সফর বাতিল না করেন।

এদিকে, হায়দ্রাবাদে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। অমিত শাহ এদিন সাংবাদিকদের বলেন,"অরুণ জেটলির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আমার কাছে এটি একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি। জেটলিজির মৃত্যুতে শুধুমাত্র দলের একজন দক্ষ-অভিজ্ঞ নেতাকেই হারালাম না, বরং নিজের পরিবারের একজনকে হারালাম। আমার কাছে উনি ছিলেন একজন পথপ্রদর্শকের মতো।"আরও পড়ুন- প্রয়াত অরুণ জেটলি

অরুণ জেটলি-র প্রয়াণে টুইটারে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন। অরুণ জেটলিকে অসাধারণ সাংসদ ও সুদক্ষ আইনজীবী বলে উল্লেখ করেছেন মমতা। জেটলির প্রয়াণে তিনি গভীরভাবে শোকাহত বলে জানিয়েছেন টুইটে। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, সব রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিলেন শ্রদ্ধার মানুষ ছিলেন অরুণ জেটলি। ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান কোনও দিন ভোলা যাবে না।

দীর্ঘ ১৫দিনের লড়াই শেষে আজ, শনিবার দুপুর ১২.০৭টায় দিল্লির এইমসে প্রয়াত হলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি। ৬৬ বছর বয়েসে প্রয়াত হলেন দেশের রাজনীতির নক্ষত্র অরুণ জেটলি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশের রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁদের সহযোদ্ধার মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। অর্থমন্ত্রকে তাঁর কার্যকালে জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

গত ৯ অগাস্ট শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ার জন্য অরুণ জেটলিকে AIIMS-এ ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর কটা দিন ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল তাঁর শরীর। গত মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট থেকে লাইফ সাপোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। ডাক্তাররা খুব চেষ্টা করছিলেন তাঁকে সুস্থ করার। কিন্তু শেষের দিকে তাঁর শরীর আর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না।

গত বছর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছিল অরুণ জেটলির। বেশ কয়েকমাস ধরেই তাঁর শরীরটা বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে সামিল না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন অরুণ জেটলি। কিন্তু শরীর এতটাই খারাপ ছিল যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রাখেননি।