টরন্টো, ১৭ নভেম্বর: প্রথম কোভিড-১৯ লকডাউনের (Covid Lockdown) সময় পরিষ্কার নীল আকাশ এবং ধোঁয়াশার অনুপস্থিতি মানুষকে অনেক স্বস্তি দিয়েছে। মনে করা হয়েছিল, সেই সময় দূষণ (Air Pollution) কমে গিয়েছিল। তবে সেটা যে একেবারেই ভ্রান্ত ধারনা তা একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে লকডাউনের সময় বায়ু দূষণ কমেনি, বরং ওজোন (Ozone) গ্যাসের মাত্রা বেড়েছে, যা সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
গবেষণার তথ্য অনুসারে, গত বছরের ২৪ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন জারি করা হয়। যানবাহন এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় বায়ু দূষণকারী পদার্থ ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু, কানাডার (Canada) ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির (York University) গবেষকদের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে বায়ু অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন হলে এটি বেশি মাত্রায় সূর্যালোক তার মধ্য দিয়ে যেতে দেয়, যা ওজোনের মাত্রা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আরও পড়ুন: Salman Khan: করোনা টিকা নিতে এগিয়ে আসুন মুসলিমরা, উদ্ধুদ্ধ করুন সলমন, আশা মুম্বই মেয়রের
দূষণকারী পদার্থের নির্গমন, বাতাসের দিক, বৃষ্টি, সেইসঙ্গে রসায়নের মিথস্ক্রিয়াগুলির একটি জটিল মিশ্রণের ফলে দূষণ সৃষ্টি হয়। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পোস্ট ডক্টরাল গবেষক লেই ক্রিলি বলেছেন, "বায়ু দূষণকারী মাত্রার উপর কোভিড-১৯ লকডাউনের প্রভাব সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য, নির্গমনের পাশাপাশি আবহাওয়াবিদ্যা এবং বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে যে স্থানীয় নির্গমন কম হওয়া বায়ু দূষণ কমার উপর কম প্রভাব ফেলেছিল।"
শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হলে, নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx), সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (PM2.5) যথাক্রমে ৫৭ শতাংশ এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু যখন আবহাওয়াকে ফ্যাক্টর করা হয়েছিল, তখন এগুলি ৮ শতাংশেরও কম কমেছে। গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে যানবাহন, জ্বালানি পোড়ানোর মতা নির্গমনের স্থানীয় উৎস আঞ্চলিক নির্গমন উৎসের তুলনায় বায়ু দূষণের উপর কম প্রভাব ফেলে। আবহাওয়া ও বায়ুমণ্ডলীয় রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি বায়ু দূষণে স্বাধীনভাবে অবদান রাখে। গ্রামীণ এবং কৃষিভিত্তিক নির্গমনের মতো আঞ্চলিক নিগর্মন লকডাউনের সময় কমেনি। তাই দিল্লি এবং হায়দরাবাদে দূষণ বেড়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।