পি চিদম্বরম(Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ২৮ আগস্ট: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পি চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ইডি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আাম জামিনের আবেদনের শুনানিতে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সিবিআই-এর হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় সোমবার প্রথম প্রবীণ কংগ্রেস নেতার একদিনের রক্ষা কবচ ফিরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ করেন, ইডির আবেদন দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের হুবহু কপি। ২৩ আগস্ট ইডি-র গ্রেপ্তারিতের ক্ষেত্রে চিদম্বরমের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট তবে ছেলে কার্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তখন থেকে ইডির গ্রেপ্তারিতে বার বার বাধ সাধছে সুপ্রিম রায়ের রক্ষা কবচ।

দিও ইডি কর্তাদের দাবি পি চিদম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case)পিটার ও ইন্দ্রাণীকে বিদেশি টাকা পাইয়ে দিয়ে নিজেরাও কাটমানি খেয়েছেন। সেই টাকা অতি চতুরতার সঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকে রেখেছেন যার হদিশ এভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ব্যাংকগুলি ব্যক্তিগত ভাবে সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে। মুখবন্ধ খামে বিষয়গুলি আদালতকে জানানো হবে। তবে বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় সেসব হিসেব নিকেশ প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। একই সঙ্গে এদিন চিদম্বরমের গ্রেপ্তারি নিয়ে এজলাসে ঝড় তোলে ইডি। এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি দুর্নীতে প্রতিরোধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদিও আগেই ইডি-র মামলায় নিযুক্ত পি চিদম্বরমের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেছেন হেনস্তা করতেই ইডি প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে গ্রেপ্তার করতে চায়। একই দাবি ছেলে কার্তি চিদম্বরমেরও। তিনি বলেন, ইডি প্রমাণ করে দেকাক কোন ব্যাংকে ঠিক কতা দুর্নীতির টাকা আমরা বাবা-ছেলে লুকিয়ে রেখেছি। আসলে হেনস্তা করতেই এই সব গ্রেপ্তারির নাটক করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-বুধবার পর্যন্ত পি চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ইডি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই সিবিআই সুকৌশলে পি চিদম্বরমকে (P Chidambaram) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সেই হেফাজতের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।  এমতাবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে আসরে নেমেছে ইডি। আর ইডি-র গ্রেপ্তারি এড়াতেই সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা লড়েছেন পি চিদম্বরম। তিনি যতই অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষা কবচ নেন না কেন ইডি (ED) ছাড়ার পাত্র নয়। ইডির আইনজীবী তুষার মেহতার (Tushar Mehta) দাবি, প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে জেরা করে দুর্নীতি দমন করাই সংস্থার উদ্দেশ্য, হেনস্তা নয়।