Champai Soren (Photo Credits: X)

রাঁচি, ১৮ অগাস্ট: জল্পনাই সত্যি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়ছেন এমন কথা ঘোষণা করলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। এবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সেটারও স্পষ্ট ইঙ্গিত তিনি দিয়ে রাখলেন। এই নিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে চম্পাই সোরেন লিখলেন, " অনেক অপমান ও অবজ্ঞার, আমি বিকল্প পথ খুঁজে নিতে বাধ্য হলাম। আজ থেকে আমার জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। আমার কাছে এখন তিনটি অপশন আছে। একটা, রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া। দ্বিতীয়টা, নিজের আলাদা সংগঠন বা দল খোলা। আর তৃতীয় যদি চলার পথের কোনও সঙ্গী আমায় সঙ্গ দেয়, তাহলে আরও কিছুটা পথ সফর করতে পারি। আজ থেকে এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত আমার কাছে এই সব কটা অপশনই খোলা থাকছে।"প্রসঙ্গত, চলতি বছর নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে হতে পারে।

ক মাস আগে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন চম্পাই সোরেন। চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ৬৭ বছরের জেএমএম নেতা। চম্পাইয়ের ওপর পুরোপুরি আস্থা রেখেছিলেন শিবু সোরেন পুত্র। জেল থেকে হেমন্ত সোরেন মুক্তি পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরেন। হেমন্তের জন্য সিংহাসন ছাড়তে পাঁচ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করেন চম্পাই। সূত্রের খবর, সেখানেই ক্ষুব্ধ হন চম্পাই। তিনি কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। আরও পড়ুন-পারিবারিক অশান্তির জের, দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি, তদন্তে পুলিশ

দেখুন চম্পাই সোরেনের এক্স পোস্ট

ঝাড়খণ্ডের বাঘ নামে পরিচিত চম্পাই সোরেন পৃথক রাজ্য ঝাড়খণ্ডের দাবিতে আন্দোলনে বড় ভূমিকা নেন। নয়ের দশকে যখন শিবু সোরেন প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু করেন ঝাড়খণ্ডের জন্য, সেই সময় চম্পাইও সেখান যোগ দেন। শিবু সোরেনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন চম্পাই সোরেন। ওই সময় থেকেই তাঁকে 'ঝাড়খণ্ড টাইগার' হিসেবে অভিহিত করা হয়। এরপর সরাইকেলা আসন থেকে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হন চম্পাই সোরেন।

বিজেপি সমর্থিত অর্জুন মুন্ডা সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় প্রথমবার মন্ত্রী হন চম্পাই। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রীত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসনের পর হেমন্ত সোরেন সরকার গঠন করলে, চম্পাই খাদ্য এবং পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।