দিল্লি, ৭ জুন: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) বিজেপি (BJP) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, গোটা দেশ জুড়ে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা ২৪০। যা ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে কংগ্রেসের পাওয়া মোট আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি। বিজেপি যখন এনডিএ (NDA) শরিকদের সর্বসম্মতিক্রমে রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হতে চলেছেন, তা দেখে উৎজীবিত দলের কর্মী, সমর্থকরা। নীতিশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু, চিরাগ পাসওয়ানদের যৌথ সম্মতিক্রমে এবারও এনডিএ জোটের নেতা, লোকসভার নেতা এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। এই তৃতীয়বারের মোদী সরকার (Narendra Modi Govt) অর্থাৎ মোদী ৩.০ সরকারের কাছে দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খা অনেকটাই বেশি।
মোদী ৩.০ সরকারের আমলে দেশের মানুষ ফের ব্র্যান্ড মোদীকে দেখতে পাবেন বলে আশা করেন। সেই সঙ্গে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের মান ধরতে রাখতে প্রধানমন্ত্রী আরও বড় পদক্ষেপ করবেন বলেও আশা করা যায়। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় যখন রাজনীতি বংশ পরম্পরায় চলে আসছে, সেখানে মোদী সরকারের আমলে তেমন কোনও নিদর্শন প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, মোদীও তাঁর পরবর্তী নেতা হিসেবে তাঁর বংশজ কাউকে এগিয়ে আনেননি। ফলে বংশ পরম্পরা নয়, মানুষের কাজের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচন করে, তা দিয়ে সরকার চালানোয় মোদী ৩.০-র কাছে আশা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বংশ পরম্পরার রাজনীতি না করায়, অন্য আঞ্চলিক দলগুলির তুলনায় মোদী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা এনং মান্যতা অনেক বেশি বলেও মনে করেন দেশের মানুষের একাংশ।
এসবের পাশাপাশি মোদী ৩.০ সরকারের আমলে দেশের কোন ক্ষেত্রে কতটা উন্নয়ন হয়, সেদিকেও দেশবাসী তাকিয়ে রয়েছেন। জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতীয় ইতিহাসে একমাত্র নরেন্দ্র মোদীই সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন। ফলে তাঁর কাছে মানুষের আশা, আকাঙ্খার পারদ যে উর্দ্ধগতিতে তরান্বিত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত ২০২৯ সাল পর্যন্ত যদি এবারের এনডিএ জোট কেন্দ্রে টিকে থাকে, তাহলে স্বাধীনতা পরবর্তী আমলে নরেন্দ্র মোদী সরকারই ২ দশকের বেশি সময় পূর্ণ করবে দিল্লির মসনদে।