
দিল্লি, ১৯ মে: জ্য়োতি মালহোত্রার পর শেহজ়াদ। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগের সূত্রে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক ব্যক্তিকে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Man) শেহজ়াদকে গ্রেফতার করা হয় পাক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ এবং গুপ্তচরবৃত্তির (ISI) অভিযোগে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh ATS) রামপুর জেলা থেকে শেহজ়াদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পাক গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত শেহজ়াদ। যে খবর পতেই উত্তরপ্রদেশ এটিএসের তরফে শেহজ়াদকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। ভারত (India) থেকে বিভিন্ন ধরনের খবর এবং তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাকে পাচার করত শেহজ়াদ। যে খবর পেতেই তড়িঘড়ি তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রিপোর্টে প্রকাশ, পাকিসিতানে একাধিকবার গিয়েছে শেহজ়াদ। কসমেস্টিক্স থেকে জামাকাপড়, মশলার মত জিনিসপত্র স্মাগলিং করতেই শেহজ়াদ বেশ কয়েকবার সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছে বলে খবর। শেহজ়াদ যে ধরনের বেআইনি কাজকর্ম করত, তা আইএসআইয়ের হয়ে। আইএসআইয়ের কোভার্ট অপারেশনের সঙ্গে শেহজ়াদ সরাসরি যুক্ত বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস।
এটিএসের কথায়, শেহজ়াদের বিষয়ে গোপণ সূত্রে খবর মেলে। তারপর থেকেই শুরু হয় খোঁজাখুজি। অবশেষে শেহজ়াদকে পাকড়াও করা যায় বলে জানিয়েছে এটিএস। আইএসএইয়ের যে এজেন্টরা ভারতে আসার চেষ্টা করত, তাদের টাকা এবং ভারতীয় সিম কার্ড সরবারহ করত শেহজ়াদ। আইএসআইয়ের ওই এজেন্টদের ভিসার ব্যবস্থাও পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা করে দিত বলে খবর।
ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্র গ্রেফতার
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এর আগে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রকে (Jyoti Malhotra) গ্রেফতার করা হয়। হরিয়ানার এই জনপ্রিয় ইউটিউবার পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিত বলে খবর। 'ট্রাভেল উইথ জো' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাত জ্যোতি। যেখানে তার ৩ লক্ষের মত সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। দিল্লিতে যে পাকিস্তানের হাইকমিশন রয়েছে। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে জ্য়োতি মালহোত্রর নিরন্তর যোগাযোগ ছিল বলে খবর।
'ইন্ডিয়ান গার্ল ইন পাকিস্তা'ন, 'ইন্ডিয়ান গার্ল এক্সপ্লোরিং লাহোর', 'ইন্ডিয়ান গার্ল ইন কাটাস রাজ টেম্পল', 'ইন্ডিয়ান গার্ল রাইডস লাক্সারি বাস ইন পাকিস্তান'। এমন সব নাম দিয়ে একাধিক ভিডিয়ো জ্যোতি মালহোত্রর ইউটিউবে রয়েছে।
ফলে জ্যোতি মালহোত্রর গ্রেফতারির পর এবার শেহজ়াদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়, পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হায়ে কাজের অভিযোগে।
পহেলগামের ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যখন সমস্ত সম্পর্ক খারিজ করেছে দিল্লি, সেই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে ঘর শত্রু বিভীষণরা। এবার সেই শত্রুদের গ্রেফতারির কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে।