দিল্লি, ২৭ অগাস্ট: গ্রেটার নয়ডায় (Greater Noida Dowry Case) পণের জন্য গৃহবধূকে নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। পণের জন্য চাপ দিয়ে, অত্যাচার করে যেভাবে ২৮ বছরের গৃহবধূ নিকি ভাটি (Nikki Bhati) হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য বিচার চাইছেন ভারতের মানুষ। আর এসবের মধ্যে বড় কথা বলল উত্তরপ্রদেশের এক মহাপঞ্চায়েত।
বাঘপতের ওই মহাপঞ্চায়েতের সদস্যরা বলেন, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় এখন থেকে আর সোনা, গয়না কিছু দেবেন না। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় তাঁদের হাতে বন্দুক, পিস্তল দিন। গ্রেটার নয়ডায় যা ঘটে গিয়েছে, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনও না হয়, তার জন্যই মেয়েদের হাতে বন্দুক, পিস্তল ধরিয়ে তবেই বিয়ে দিন বলে পরামর্শ দেওয়া হয় মহাপঞ্চায়েতের তরফে।
বাঘপতের ক্ষত্রিয় মহাপঞ্চায়েতের তরফে বলা হয়, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় আমরা সোনা, গয়না, নগদ টাকা দিই। কন্যাদানের নাম করে হবু জামাইয়ের বাড়ি সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় মেয়ের বাড়ির তরফে। বর পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী, সমস্ত কিছু সাজিয়ে, গুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু বিয়ের পর যে সমস্ত অপরাধ ক্রমাগত ওই মেয়েটির সঙ্গে ঘটে চলে, তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই বিয়ের সময় মেয়েকে সোনা, গয়না না দিয়ে, এবার তাঁর হাতে বন্দুক, পিস্তল তুলে দিন উত্তরপ্রদেশের ওই মহাপঞ্চায়েতের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়।
মেয়েরা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তার জন্যই তাঁদের হাতে বন্দুক, পিস্তল তুলে দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হয় মহাপঞ্চায়েতের তরফে।