Coronavirus Cases In India Rise To 415: ভয়াবহ গতিতে ছুটছে কোভিড-১৯, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫
করোনাভাইরাসের স্ক্রিনিং (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৩ মার্চ: বিদেশি দেশি মিলিয়ে সোমবার ভারতে করোনা আক্রান্তের (coronavirus positive) সংখ্যা পৌঁছালো ৪১৫। এই তথ্য দিয়েছে আইসিএমআর। রবিবার থেকে সোমবার এই ৪৮ ঘণ্টায় ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই করোনার গ্রাসে দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২৩ জন। ভয়াবহ গতিতে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের সংক্যা মিলেছে। মহারাষ্টের অবস্থা সব থেকে খারাপ। সেখানে আক্রান্তের সংক্যা ৮৯। তালিকায় দ্বিতীয় কেরালা।

তথ্যানুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫। বিহারে দুজন আক্রান্তের মধ্যে গতকালই একজনের মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড়ে একজন আক্রান্ত। দিল্লিতে ২৮ জন আক্রান্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাটে ১৮ জন আক্রান্তর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হরিয়ানায় সাতজন আক্রান্ত। হিমাচলপ্রদেশে দুজন আক্রান্ত। কর্ণাটকে ২৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ১জন মৃত। কেরালায় ৬০ জন আক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশে ৬ জন আক্রান্ত। মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন আক্রান্তের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশায় আক্রান্ত ২। পুদুচেরিতে একজন আক্রান্ত। পাঞ্জাবে ২১ জন আক্রান্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫। তামিলনাড়ুতে সাতজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। তেলেঙ্গানায় সংখ্যাটা ১৫। চণ্ডীগড়ে পাঁচ, জম্মু ও কাশ্মীরে চার, লাদাখে ১৪ জন আক্রান্ত। উত্তরপ্রদেশে ২৭ জন আক্রান্ত। উত্তরাখণ্ডে তিনজন আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গে সাতজন। এই সংখ্যা সোমবারের নিরিখে বেড়ে ৪১৫। তাই ভয়বহতা সহজেই আঁচ করা যাচ্ছে। আরও পড়ুন-No Newspapers In Mumbai Today As City Goes Under Lockdown: শিয়রে শমন করোনাভাইরাস, মুম্বইবাসীকে অনলাইনে খবর জানতে অনুরোধ সংবাদ মাধ্যমের

করোনাভাইরাস রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। কেউ যদি সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঘরে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সিরিয়াসলি নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “দেশের বাসিন্দাদের অনেকেই এই মহামারী পরিস্থিতিকে সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না। দয়া করে নিজেকে বাঁচান। পরিবারকে বাঁচান। নির্দেশিকা মানুন। আমি সমস্ত রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যেন লকডাউন সংক্রান্ত আইন অনুসরণ করা হয়।”