গাজিয়াবাদে মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে গণধর্ষণ। গত ১৯ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad Rape Case) লনি গ্রামে। এই ঘটনার পর অপমানে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বছর ২৩-এর ওই তরুণী। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুই মূল অভিযুক্তের সন্ধান পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে, পুলিশকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলিও। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। আর সেই গুলিতে জখম হয় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই ধৃতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে তরুণীকে ধর্ষণ
জানা যাচ্ছে, মানসিক বিকারগ্রস্থ ওই তরুণী কথা বলতে পারতেন না এবং কানেও শুনতে পারতেন না। ১৯ অগাস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। রাস্তা ভুলে যাওয়ায় সে এলাকার লোকজনদের কাছে লনি গ্রামে যাওয়ার রাস্তা জানতে চায়। সেই সময়ই একটি বাইকে করে রোহিত এবং বীর সিং নামে দুই ব্যক্তি যাচ্ছিল। তাঁরা তরুণীকে গ্রামে ছেড়ে দিয়ে আসবে বলে বাইকে তোলে। তারপর নিঠোরা গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
বাড়ি ফিরে সে আত্মঘাতী হয়। নির্যাতিতার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই শুরু হয় তদন্ত। আর তারপরই রোহিত ও বীরের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এদিন নিঠোরা গ্রামে অভিযান চালানোর সময় দুজনে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই অভিযুক্তদের পিছু নেয় পুলিশের দল। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাল্টা পুলিশও এনকাউন্টার করে। আর তাতেই দুজনের পায়ে গুলি লাগে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থীতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।