বেতুল, ১ মে: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বেতুলের (Betul) কাছে এক গ্রামে ১৮ বছরের এক তরুণীকে ৭ দুষ্কৃতী গণধর্ষণ (Gang rape) করেছে বলে অভিযোগ। এদের মধ্যে ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। দাদার সঙ্গে অন্য গ্রাম থেকে ফেরার সময় পথে ঘটেছে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ। কোতোয়ালি থানার এসআই রাজেন্দ্র ধারভে বলেছেন, বুধবার রাতে ২১ বছরের দাদার সঙ্গে মোটর বাইকে করে গ্রামে ফিরছিলেন ওই তরুণী। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাইক আটকায় ৭ অভিযুক্ত।
মেয়েটির দাদাকে কাছের কুয়োয় ছুঁড়ে ফেলে রাত দুটো পর্যন্ত তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করে। তারা চলে গেলে ওই তরুণী দাদাকে কুয়ো থেকে তুলে আনেন, পরদিন সকালে তাঁরা পৌঁছন নিজেদের গ্রামে। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। ৭ অভিযুক্তের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২ জনের নাম শুভম বেলে ও সন্দীপ খাটিয়া, বয়স ২২-২৩। বাকি ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অপর দুই অভিযুক্ত, পরিচয় লোকেশ সোনি (২২), নেমওয়ার (দেবাস জেলা), এবং স্থানীয় বাসিন্দা, পবন বেল (২৪), পলাতক বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ধুরভে জানান, এদের সকলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। আইপিসি ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৬৫ (অপহরণ) এবং ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা) ধারায় মামলা করা হয়েছে। আরও পড়ুন, মধ্যপ্রদেশে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে শিশুর চোখ খুবলে নেওয়ার চেষ্টা ধর্ষণকারীর
মধ্যপ্রদেশে করোনায় লকডাউনের মধ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার (Damoh District) একটি গ্রামে ২১ বছর বয়সী ব্যক্তি সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জেলা পুলিশ প্রধান হেমন্ত চৌহান। তিনি জানান, ধর্ষণকারী শিশুটিকে সনাক্ত করা আটকাতে তার চোখ খুবলে নেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত শচীন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় জেলা পুলিশ প্রধান।